নরসিংদীতে মরা গাছের মরণফাঁদ

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে তিনটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত মরা গাছ। সামান্য ঝড়-বাতাসে এসব গাছ ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ঘটনায় পড়ছে পথচারী ও যানবাহন, এতে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। দুর্ঘটনা রোধে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, ঢাকা-কটিয়াদী সড়কের নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা হতে মনোহরদী সড়ক, সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড় হতে পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর সড়ক ও রায়পুরা উপজেলার তুলাতুলি থেকে বোয়ালমারার বারৈচা পর্যন্ত এ তিনটি সড়কে দুইপাশে শুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় চার শতাধিক মৃত-অর্ধমৃত গাছ।

জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের লাগানো শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ সড়কের দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই আছে। রাস্তার পাশে এসব গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ছে সড়কের উপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারী ও যাত্রীবাহি বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন। গত দুই মাসে শুধু শিবপুর উপজেলায় এসব মরা গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন দুইজন।

এছাড়া গাছ ভেঙ্গে সড়কের ওপর পড়ায় প্রায়ই বিঘ্নিত হচ্ছে যানচলাচল। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন মরণ ফাঁদ। দ্রুত এসব গাছ কেটে সরিয়ে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই গাছগুলো কেটে নিয়ে ওইসব জায়গায় ফলের গাছ রোপনের দাবী তাদের।

শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামের শেখ মানিক বলেন, এই সড়কটি খুবই ব্যস্ততম একটি সড়ক। মরা গাছের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই সড়কে। গত ২ মাসে গাছ চাপায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

একই উপজেলার বান্ধারদিয়া এলাকার ব্যবসায়ী তরুন বলেন, অনেকদিন হয় শত শত গাছ মরে গেছে, এখন এসব গাছ ও ডালপালা যখন তখন ভেঙ্গে সড়কের উপরে পড়ছে। কিছুদিন আগে এলাকার এক কিশোরের উপর গাছ চাপা পড়লে সে মারা যায়। এসব গাছ দ্রুত কেটে নেয়া উচিত।

নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে খুব দ্রুতই মরা গাছগুলো কেটে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরিমধ্যে জরিপ করা হয়েছে। কিছু গাছ জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রয়েছে। এই গাছগুলো সরিয়ে নতুন করে গাছের চারা রোপনের উদ্যোগও নেয়া হবে।


রাইজিংবিডি/ নরসিংদী / ২ আগস্ট ২০১৯/ গাজী হানিফ মাহমুদ/ সাজেদ