নসিমন-করিমনের কদর বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি দেবেন। হাট থেকে পশু কিনে বাড়ি পর্যন্ত নেয়ার জন্য গাড়ি প্রয়োজন। এ কারণে মিনি পিকআপ, নসিমন-করিমনের কদর বেড়েছে।
ঈদ উপলক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ১৬টিসহ জেলায় শতাধিক গরু-ছাগলের হাট বসেছে। পশু কেনার জন্য অনেকেই এক হাট থেকে অন্য হাটে ছুটছেন। অনেকে অন্য উপজেলার হাটে গিয়েও গরু-ছাগল কিনছেন। কোরবানির পশু বাড়িতে নেয়ার জন্য ভাড়া করছেন মিনি পিকআপ, নসিমন-করিমন জাতীয় গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে নসিমন-করিমন সাধারণত গ্রামের রাস্তায় চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে শহরের রাস্তাতেও নসিমন-করিমনের আনাগোনা দেখা গেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তরৎপাড়া এলাকার মো. রেহান উদ্দীন, সাদেক আলী এবং আব্দুল জাব্বার কোরবানির জন্য দুটি গরু কেনেন কাপাসিয়া উপজেলার বানরহাওলা হাট থেকে। বাড়ি থেকে ওই হাটের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। গরুর দুটির জন্য ট্রাক ভাড়া করা বেশ ব্যয়বহুল। তা ছাড়া ওই হাটের আশপাশে ট্রাকও পাওয়া যায় না। পরে ১ হাজার ৮০০ টাকায় মিনি পিকআপ ভাড়া করে গরু দুটি বাড়ি নিয়ে আসেন তারা।
সিটি করপোরেশনের হাড়িনাল এলাকার হুমায়ুন কবির একটি গরু কেনেন শ্রীপুর উপজেলার মার্তা হাট থেকে। তিনি জানান, তার বাড়ি থেকে ওই হাটের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। ৬০০ টাকা ভাড়ায় মিনি পিকআপে করে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
হুমায়ুন কবির বলেন, গরুকে হাঁটিয়ে বাড়ি পর্যন্ত নিতে অন্তত ৩ ঘণ্টা সময় লাগত। এর জন্য দুই-তিনজন লোকেরও প্রয়োজন হতো। সেখানে অল্প ভাড়ায় মিনি পিকআপে মাত্র আধা ঘণ্টায় গরু নিয়ে বাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
ট্রিপের জন্য গাজীপুর সিটি কপোরেশনের রথখোলা এলাকার পশুর হাটের পাশে পিকআপ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন সদর উপজেলার কেশরিতা গ্রামের মো. মেহেদি। তিনি বলেন, দূরত্ব একটু বেশি হলে মানুষ এখন আর হাঁটিয়ে পশু বাড়ি নিতে চায় না। সে ক্ষেত্রে মিনি পিকআপ, নসিমন-করিমনই বেছে নেয়। এতে ক্রেতারা কম ভাড়ায় এবং অল্প সময়ে গরু-মহিষ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।
তিনি জানান, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চারটি ট্রিপ দিয়েছেন। এতে তার রোজগার হয়েছে ৪ হাজার টাকা। দুই-তিন দিন ধরে রোজগার বেশ ভালো হচ্ছে। অন্য সময় দিনে ১ হাজার ৫০০ টাকার মতো আয় হতো।
রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১১ আগস্ট ২০১৯/হাসমত আলী/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন