ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

আস্থা প্রকল্পের উদ্বোধন

নারী ও শিশুরা মানসিকভাবে বেশি নির্যাতিত

একে আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১৭ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারী ও শিশুরা মানসিকভাবে বেশি নির্যাতিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হলো নারীর ক্ষমতা ও জেন্ডার সমতা অর্জন। বাংলাদেশে জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতনের ঘটনা অনেক বেশি। কেবল শারীরিক নির্যাতন নয়, এখন অনেকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

মঙ্গলবার নির্যাতন শিকার নারী ও শিশুদের সরকারি বহুমুখি সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘গণ উন্নয়ন কেন্দ্র’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শহরের একটি হোটেলে নারী ও কন্যা শিশুদের ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত সাড়া ও সেবাদানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বৃদ্ধির লক্ষে আস্থা নামের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

শারীরিক নির্যাতনের যন্ত্রণার চেয়ে মানসিক নির্যাতনের যন্ত্রণা অনেক বেশি। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তবেই নারী ও শিশুরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। তাহলে সমাজ এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. শামসুল হক, সিনিয়র সহকারি জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা জেসমিন আরা জাহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সালাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাল্য বিবাহ। সমাজের অধিকাংশ নির্যাতন কমে যাবে বাল্য বিবাহ ঠেকানে গেলে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর হিসাব মতে, ২০১৫ সালে প্রায় ৭৩ শতাংশ বিবাহিত নারী কোনো না কোনোভাবে তাদের জীবন সঙ্গীর কাছে সহিংসতার শিকার। একটি বৃহৎ অংশ শারীরিক ও যৌন সহিংসতার শিকার হলে তা অন্য কারও কাছে প্রকাশ করতে পারেন না। ফলে তারা আইনী সহায়তাও পান না।

বক্তারা আরও বলেন, সমাজে নারী ও শিশুদের সমানভাবে দেখতে হবে। প্রয়োজনে নারীদের জন্য আলাদা কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। কারণ নির্যাতিত অনেক নারী-পুরুষ কোনো কর্মকর্তার কাছে তা বলতে চান না। নারী কোনো কর্মকর্তা হলে তা সহজেই কেউ বলতে পারতেন। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে সহায়তা ও সেবা বৃদ্ধি করা খুব জরুরি। প্রত্যেক মানুষ ও সামাজিক সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার এসব নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য।  



রাইজিংবিডি/বগুড়া/১৭ জুলাই ২০১৮/আজাদ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়