নিরাপদ সেনিটেশনের জন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বান
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে শতভাগ সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে জাতীয় স্যানিটেশন মাসের (অক্টোবর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য উন্নত স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক সুস্থ জীবন’।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার প্রায় শূন্যে নেমে আসলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সূচক সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। দেশের সব মানুষকে সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনের আওতায় আনতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও উদ্যোক্তাসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, স্যানিটেশন উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। শুধু অক্টোবর মাসেই নয়, বছরব্যাপী ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা, স্বাস্থ্য সম্মত ও উন্নত স্যানিটেশনের এ সামাজিক আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেবে।
মন্ত্রী স্যানিটেশন সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করেন।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, দেশের প্রধানতম উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হলো- পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত রোগ সংক্রমণের হার কমিয়ে এনে স্বাস্থ্যসম্মত পানি ও স্যানিটেশন সুবিধাদির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। এজন্য দেশের জনগণকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিকভাবে অবহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে, ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস’ উদযাপন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী জনগণই পারে দেশের উন্নয়নে শরিক হতে। তাই আমাদের সবার উচিৎ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা পালন করা এবং অন্যকে তা পালনে উৎসাহিত করা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শিক্ষা শাখার প্রধান।
ঢাকা/আসাদ/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
