নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি তদন্তের দাবি বিএনপির

‘অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতির খুঁজে বের করার জন্য কাজ করা প্রয়োজন’ বলে মন্তব‌্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিভক্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ও সচিব এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা লোক নিয়োগ দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন কাজ করছেন যেটা সংবিধানের পরিপন্থি। কারণ, এখানে কমিশনের সবাই মিলে একক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই নির্বাচন অযোগ্য। এখন যেটা মনে হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশনেও দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন সেটা তদন্ত করুক।’

বিদেশে কাজ যাওয়া নারী শ্রমিকের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের যে ভূমিকা পালন করা দরকার, সেই ভূমিকা তারা পালন করতে পারছে না। আমরা মনে করি এটা চরম ব্যর্থতা।’

এ বিষয়ে কমিশন গঠন করে সত্য উৎঘাটন করে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, ভারত সফরের বিষয়ে তথ্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে এবার পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এখন তথ্য অধিকার আইনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণার জন্য চিঠি দেব। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আমরা এই চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী কমিটির এই বৈঠকে হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ও তার মামলার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। স্থায়ী কমিটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ড সঠিক প্রতিবেদন দেবে এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে সুবিচার পাবেন বেগম জিয়া।

দলের নেতৃবৃন্দসহ ৫০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি সংগঠনের প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে আপনারা জানেন যে, আমাদের সিনিয়র লিডারসসহ প্রায় ৫০০ লোকের নামে একটি মামলা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে জামিন পেয়েছি। এই মামলাকে কেন্দ্র করে এখন সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে তাদেরকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপে’র মাধ‌্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা/সাওন/সনি