ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা কতটা প্রাধান্য পাবে?

মাছুম বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২৭ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা কতটা প্রাধান্য পাবে?

মাছুম বিল্লাহ : দেশের রাজনৈতিক মাঠ এখন সরগরম। সকল দল তাদের প্রার্থী মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তারপরই দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে। দেশের বহুবিধ সমস্যা, সমাধানের শক্তি, মানুষের চাহিদা, তরুণদের প্রত্যাশা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তারা ইশতেহার ঘোষণা করবে। সবকিছুর মূলে রয়েছে শিক্ষা, তাই চিন্তা করছি নির্বচনী ইশতেহারে শিক্ষা কতটা গুরুত্ব পাবে।

আমরা যদি প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে শুরু করি তাহলে দেখব অন্তহীন সমস্যার আবর্তে শিক্ষার এই প্রাথমিক স্তর। মোটা দাগে বলতে হয়, দেশে ৬৪ হাজার ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষার বিশাল অংশই সরকার কাভার করছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়গুলোতে সর্বনিম্ন তিনজন শিক্ষার্থী থেকে তিন হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাতে বুঝা যাচ্ছে কত অপরিকল্পিতভাবে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নির্মিত হয়েছে। এরপর  এক তৃতীয়াংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। দুজন তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে হাজার হাজার বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে ঘটছে চরম অবনতি। পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ২৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী দেখে বাংলা পড়তে পারে না, দুই সংখ্যার যোগ বিয়োগ করতে পারে না। প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে নাকি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্তই থাকবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে সংখ্যা তার চেয়েও বেশি সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয় বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক পরীক্ষা শিশুদের মানসিক, শারীরিক ও মনস্তাত্তিক চাপ বাড়াচ্ছে বলে শিক্ষাবিদগণ এই পরীক্ষা বন্ধের জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। প্রাথমিকের এই পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নেই কোন শিক্ষা বোর্ড। অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ পরিচালনা করছেন এই বিশাল ও শিশুদের জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। এসব বিষয়  নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে কি থাকবে তা জনগণের জানার আগ্রহ ও প্রয়োজন দুটোই রয়েছে।

আমরা আশা করবো যে, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী নিজ ভাষায় অর্থাৎ বাংলায় সুন্দর করে নিজ সম্পর্কে লিখতে পারবে, দরখাস্ত লিখতে  পারবে, প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারবে। কিন্তু অনন্য ব্যতিক্রম ছাড়া অনেকেই তা পারে না। গণিত বা বিজ্ঞান যে কোনো বিষয়েই হোক প্রশ্ন সব সময় ট্রাডিশনাল। ট্রাডিশনের বাইরে গেলেই শিক্ষার্থীরা আর পারছে না। গণিত একটু ফিগার পরিবর্তন করে দিলেই আর পারে না। ইংরেজির ক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থা। তাদের ইংরেজিতে কথা বলে কমিউনিকেট করতে শেখানো হয় না, ইংরেজি শুনে বুঝতে পারার প্র্যাকটিস করানো হয় না। নিজ থেকে কিছু লিখতে দিলে লিখতে পারে না, নিজ বইয়ের নির্দিষ্ট স্থানটুকু যেখান থেকে পরীক্ষায় আসবে সেটুকু ছাড়া বাইরের কিছু দিলে পড়ে বুঝতে পারে না। অথচ ইংরেজিতে মার্কস পেয়ে যাচ্ছে আশি, নব্বই এবং একশর কাছাকাছি। এই অবস্থা সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে যে, শিক্ষার্থীরা পাস করে যাচ্ছে, উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছে কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা তারা পাচ্ছে না। একটি উদাহরণের মাধ্যমে আমরা কী ধরনের শিক্ষা দিচ্ছি তা বুঝা যাবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেসব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় সেগুলোর প্রশ্ন এরূপ- ‘ঢাকার অপর নাম কি?’ উত্তর : জাহাঙ্গীরনগর। এটি নিজের তৈরি করার কিছু নেই, যে মুখস্থ করবে সে জানবে, যে করবে না সে জানবে না। কিন্তু প্রশ্নটি যদি এরূপ হতো- ‘ঢাকার অপর নাম জাহাঙ্গীরনগর কেন?’ এটি বিশ্লেষণমূলক। শিক্ষার্থীদের চিন্তায় ফেলে দেবে। তাদের চিন্তন দক্ষতা বাড়বে, বিশ্লেষণমূলক ক্ষমতা বাড়বে। কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা দেখে না, তাদের এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুতও করা হয় না।

দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট নেই। থাকলেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অনেক স্কুলে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে কিন্তু এক গ্লাসে সবাইকে পানি পান করতে হয়। যদিও প্রাইমারী শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর লক্ষ্য ছিল ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু করা হয়নি। সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বাস্থ্যসেবার বেহাল অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ৩২.৬ শতাংশ স্কুলে ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৬৭ শতাংশেই ছাত্রীদের পৃথক পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। ২০১৬ সালের তথ্য নিয়ে অধিদপ্তরের ‘অ্যানুয়াল সেক্টর পারফরম্যান্স রিপোর্ট-২০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদেনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের ‘প্রাইমারী স্কুল কোয়ালিটি লেভেল’-এ আরও বলা হয়, সরকারি ১৮ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি শৌচাগারও নেই। একটি টয়লেট বিদ্যমান থাকা স্কুলগুলোতে ছেলেমেয়েরা যৌথভাবে তা ব্যবহার করে। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেন্ডারবান্ধব স্যানিটেশন নিশ্চিত করা উচিত। কমন টয়লেটের পাশে ছাত্রীদের আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন সার্ভের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি ১৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য টয়লেট রয়েছে একটি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৫ শতাংশ টয়লেট বন্ধ থাকে। চালু থাকা টয়লেটের দুই-তৃতীয়াংশের ভেতরে বা কাছকাছি পানি ও হাত ধোয়ার সাবানের ব্যবস্থা থাকে না। ঋতুকালীন অনেক মেয়েকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখা যায়।

স্কুলের টয়লেট বা মানসম্পন্ন স্যানিটেশন না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিশেষ করে মেয়েরা পানি পান করে না। এতে তারা ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়। ফলে জ্বর, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা লেগেই থাকে। অনেকের শরীরে পানিশূন্যতাও দেখা দেয়। মেয়েদের একটি প্রাকৃতিক সমস্যা হলো ঋতুকালীন সমস্যা। অনেকের জীবনে প্রথম মাসিক হয় স্কুলে। কিন্তু স্কুলগুলোতে এ সময় প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় তারা বিপাকে পড়ে। আবার অনেকেরই স্কুলে ঋতুস্রাব হয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় এসব ছাত্রী লোকাল ইনফেকশনে ভোগে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, যথেষ্ট গোপনীয়তা এবং মেয়েদের জন্য আলাদা মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উপযোগী টয়লেট- বিষয়গুলো শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করে। তাই, দেশের প্রত্যেক স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিসহ সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি পর্যায়ে এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, কিন্তু আমাদের প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে চিন্তা করছেন কি?

মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৭ শতাংশ বিদ্যালয় পুরোপুরি সরকারি। মাত্র ৩১৭টি বিদ্যালয় সরকারি ছিল। বর্তমান সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত এসে এই সংখ্যা ৬৩৫টিতে উন্নীত করা হয়।  তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। যে সব উপজেলায় সরকারি স্কুল ছিল না সেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি করা হয়েছে। এটি করতে গিয়েও নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। সঠিকভাবে মানা হয়নি শর্তসমূহ, রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হচ্ছে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা কি বেসরকারি পর্যায়েই চলবে নাকি জাতীয়করণ করা হবে। বর্তমানে যেভাবে জাতীয়করণ করা হয়েছে তাতে বিশাল বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। একই মানের, একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষক রাষ্ট্রের পুরোপুরি সুযোগ সুবিধা পাবেন, আর বাকীরা পাবেন না। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে যারা পড়াশুনা করবে তাদের টিউশন ফি মাসে বিশ-ত্রিশ টাকা আর বাকীদের একশত থেকে একহাজার টাকা পর্যন্ত। এই বৈষম্য কীভাবে দূর করা যাবে কিংবা কীভাবে সমতা আনা যাবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কি ভাবছে তা ভোটের আগেই আমাদের জানা প্রয়োজন।

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা যেন আরও প্রকট। এখানে আদর্শিক কোন শিক্ষার যেন স্থানই নেই। ভর্তি হতে রাজনীতি, ভর্তির পরে হলে সিট পেতে রাজনীতি, তারপরে অস্ত্রের মহড়া, প্রতিপক্ষকে যখন তখন বনের পশুদের মতো আঘাত করা নিত্যদিনের চিত্র। শিক্ষকদের উলঙ্গ রাজনীতি উচ্চশিক্ষার বেহাল অবস্থার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতেই থাকবে নাকি আগামী নির্বচনের মাধ্যম যারা সরকার গঠন করবে তাদের নতুন কোন চিন্তা-ভাবনা আছে? গ্লোবাল ইনডেক্স-২০১৮ তে দেখা যায়, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে  সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালও আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় টেকে না। অনেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না, ভর্তি যারা হয় তারা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করতে অপারগ। অথচ এসব শিক্ষার্থীরাই আন্তর্জাতিক মানের অ্যাসেসমেন্ট যেমন জিআরই, টোফেল, আইএলটিএস টেস্টে চমৎকার স্কোর করে, বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো রেজাল্ট করে, অনেকে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও হচ্ছেন। যারা শিক্ষক হচ্ছে না তারাও অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, বড় বড় গবেষক হয়েছেন। এসব বাস্তব প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে আমাদের প্রশ্ন জাগে আমাদের জাতীয় পরীক্ষা নেয়ার পদ্ধতি ও  বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা কতটা নির্ভরযোগ্য! আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের দেশের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘোরাচ্ছি। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কী ভাবছে? সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করা কি সম্ভব হবে, নাকি যা আছে তাই থাকবে?

রাষ্ট্র পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে প্রয়োজনীয় উচ্চ ডিগ্রিসম্পন্ন জনবল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকদের বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। ফলে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন সেটা তারা পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে দেশে দক্ষ শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে বিশেষায়িত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আরও প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এসব  বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করবে। পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করবে, যাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত ল্যবরেটরি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম কিছুটা বাড়লেও আশানুরূপ পর্যায়ে যায়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতিমধ্যে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অল্প। ২০২১, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ ছাড়া ‘স্ট্রাটেজিক প্লান ফর হায়ার এডুকেশন ২০১৮-২০৩০’ কোন দল কীভাবে বাস্তবায়ন করবে তার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং পদ্ধতি জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সেই অধিকার সম্পর্কে কতটা সচেতন?

লেখক : ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ নভেম্বর ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়