ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নির্বিঘ্ন হোক সবার ঈদযাত্রা

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২২ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বিঘ্ন হোক সবার ঈদযাত্রা

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ অথবা ২৭ জুন উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ফাঁকা হতে শুরু করেছে। গ্রামে পরিবার পরিজনের সঙ্গে মিলেমিশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে এই ঈদযাত্রায় অনেকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ, যানজট, বাস-লঞ্চে বাড়তি ভাড়াসহ পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কয়েকটি মহাসড়কের অবস্থা নাজুক। বিশেষ করে টঙ্গি থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। অবশ্য ঈদ উপলক্ষে সড়ক ও সেতু পরিবহনমন্ত্রী চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথের যাত্রীদেরও। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ।

বস্তুত প্রতি ঈদেই ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই সড়কে যানজট। যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে মহাসড়কগুলোর এই বিশেষ পয়েন্টগুলোয় দৃষ্টি দেয়া জরুরি। যানজটের কারণ চিহ্নিত করে যতটা সম্ভব তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। অতীতে কারো কারো এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে যে, ঈদ জামাতের সময় পার করতে হয়েছে সড়কে। এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দিতে হবে।

ঈদ যাত্রায় আরেকটি বিড়ম্বনা সড়ক দুর্ঘটনা। এমনিতেই সড়কপথে দুর্ঘটনার হার বেশি। আর ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কগুলোয় বাড়তি যানবাহন চলাচল করায় দুর্ঘটনার আশংকা আরও বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে যানবাহনের চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবারই বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

ট্রেন ও লঞ্চের যাত্রীরাও যেন নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন সে প্রত্যাশা আমাদের। এর আগে দেখা গেছে ঈদে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। এতে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।  কিছুটা সমস্যা হলেও এবার এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ ট্রেন, বাস, লঞ্চ নির্ধারিত সময়ে যাত্রা করেছে। এ অবস্থান ধরে রাখতে হবে। নৌ পথে দুর্ঘটনা এড়াতে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে না চলতে পারে সে দিকে নজর এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে ।

অবশ্য এটি ঠিক যে, সড়ক, রেল ও নৌপথে বিদ্যমান সমস্যা রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। তারপরও সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের উচিত জন ভোগান্তি লাঘব বা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সদা তৎপর এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হোক। নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে সবাই নিরাপদে ঢাকা ফিরে আসবেন এ প্রত্যাশা আমাদের। 




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুন ২০১৭/আলী নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়