ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘নোংরা’ উক্তিটি সু চি’র নয়, তাহলে কার?

শাহিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘নোংরা’ উক্তিটি সু চি’র নয়, তাহলে কার?

নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত শুদ্ধির নামে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের গণহত্যা, ধর্ষণ আর দেশছাড়া করার অপরাধে গাম্বিয়ার করা মামলার বিচারের শুনানি চলছে। শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আবুবাকার মারি তামবাদু। মিয়ানমারের পক্ষে অং সান সু চি তার দেশের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

শুনানিতে অংশ নেয়া উভয় পক্ষের বক্তব্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পক্ষে-বিপক্ষে শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃত্তি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মুখর হয়েছেন এই ঘটনায়। এ প্রসঙ্গে কিছু কথা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।  অং সান সু চিকে উদ্ধৃত করে তেমনই একটি উক্তি দেশের প্রতিটি মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অনেকে বলতে বাধ্য হয়েছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী একটি মানুষ এ ধরনের রুচিহীন উক্তি কীভাবে করেন। উক্তিটি এমন, আদালতে দাঁড়িয়ে সু চি বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী (মিয়ানমার) এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কেউ নোংরা বাঙালি মেয়েদের ছোঁবে না। ওরা আকর্ষণীয় নয়।’

দেশের মূলধারার কিছু সংবাদপত্রেও উক্তিটি প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম এই উক্তিকে শিরোনাম করে সংবাদ প্রচার করেছে। বলাবাহুল্য এমন উক্তি সু চি’র প্রতি তীব্র ঘৃণার অনলে ঘি ঢেলেছে! কারণ রোহিঙ্গাদের প্রতি চালানো গণহত্যায় নানা সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে কথা বলায় সু চি বিশ্বব্যাপী এমনিতেই নিন্দিত।

প্রশ্ন হচ্ছে, সু চি একথা বলেছেন কি না? প্রকৃতপক্ষে শুনানিতে এ ধরনের কথা সু চি বলেননি। তবে তিনি এখনও তার দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গাইছেন। গতকাল শুনানি চলাকালে সু চি সেনা অভিযানে নয় বরং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গারা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, সু চি তার বক্তব্যে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মূলত সু চি’র উদ্ধৃতি দিয়ে যে কথাটি বলা হচ্ছে সেটি মিয়ানমারের নিজস্ব তদন্ত কমিটির প্রধানের। তিনি আরাকান ন্যাশনাল পার্টির এমপি অং উইন। শুনানি চলাকালে মার্কিন আইনজীবী তাফাদজ পাসিপান্দো গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং উইনের এই বক্তব্য তুলে ধরেন। পাসিপান্দো বলেছেন, ‘This is what the chairperson of a state level investigative committee said about the widespread and well documented rape of Rohingya women. He said, 'it was inconceivable because they very dirty. The Bengali Rohingya women have a very low standard of living and poor hygiene. They are not attractive. So, neither the local Buddhist men nor the soldiers are interested in them.’

এই বক্তব্যটি পাওয়া যাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করা ভিডিওতে। লিংক কৌতূহলী পাঠকের জন্য দেয়া হলো:

লিংক- https://www.icj-cij.org/…/multime…/5de79a721e1ac927e3c2eb56


ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়