ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নৌবাহিনীর বহরে দেশে তৈরি দুই যুদ্ধ জাহাজ

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ৮ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নৌবাহিনীর বহরে দেশে তৈরি দুই যুদ্ধ জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে নতুন দুই যুদ্ধ জাহাজ। দেশে তৈরি এই যুদ্ধ জাহাজের উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার দুপুরে খুলনার খালিশপুরে নৌ-ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরের নেভাল বার্থে যুদ্ধজাহাজ ‘দুর্গম’ ও ‘নিশান’ এবং সাবমেরিন টাগ ‘পশুর’ ও ‘হালদা’র আনুষ্ঠানিক কমিশনিং করেন রাষ্ট্রপতি।

কমিশনিং অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে জাতির পিতার পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।’

‘ইতোমধ্যে নৌবহরে দুটি আধুনিক সাবমেরিন ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, এয়ারক্রাফট এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। একইসঙ্গে বড় আকারের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’

এ সময় রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি খুলনাস্থ নৌ-ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরে এসে পৌঁছলে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং কমডোর কমান্ডিং খুলনার কমডোর সামসুল আলম তাকে অভ্যর্থনা জানান।



প্রসঙ্গত, নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা দিতে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই দুটি জাহাজ। পানির নিচে থাকা সাবমেরিন শনাক্ত ও ধংসের জন্য স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে এই জাহাজে।

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের এলপিসি জাহাজ প্রকল্পের প্রধান কর্মকর্তা কমান্ডার এম আর রাশেদ জানান, বড় আকারের অত্যাধুনিক লার্জ পেট্র্রোল ক্রাফট প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৬৪ দশমিক ২ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার। এর গভীরতা ৫ দশমিক ১০ মিটার। সমুদ্রপথে ঘণ্টায় ২৫ নটিকেল মাইল বেগে চলবে। জাহাজে ৭০ জন একসঙ্গে থাকতে পারবেন।

চীনের যুদ্ধজাহাজ বিশেষজ্ঞরা এতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়েছেন। লার্জ পেট্রোল ক্রাফট হলেও এগুলোতে অধিকাংশ সুবিধা থাকবে। থাকবে স্বয়ংক্রিয় মিসাইলসহ অত্যাধুনিক সব যুদ্ধাস্ত্র। আরো থাকবে একটি মাল্টি রোল গান, একটি সিঙ্গেল ব্যারেল গান, দুইটি ট্রিপল টুবার টর্পেডো লঞ্চার, দুইটি নেভিগেশন রাডার, একটি এয়ার অ্যান্ড সারফেস সার্চ রাডার, একটি ট্র্যাকিং রাডার এবং একটি হাল মাউন্টেড সোনার থাকবে।

এই এলপিসি শত্রুপক্ষের সাবমেরিন শনাক্ত এবং তার ওপর আক্রমণ করতে সক্ষম। এটি দিয়ে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় টহলও দেওয়া যাবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ নভেম্বর ২০১৭/রুহুল/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়