ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

পচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধে পথচলা দুষ্কর

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৩০ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধে পথচলা দুষ্কর

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরায় ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পচে গেলে ফেলা হচ্ছে সদর উপজেলার নবাতকাটি এলাকার সড়কের দুই পাশে। এতে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, ভোমরার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পচা পেঁয়াজ এনে সড়কের পাশে ফেলছেন। ভোমরা স্থলবন্দরের ওয়্যারহাউজে বর্জ্য ফেলার সুযোগ না থাকায় তারা এমন করছে বলে জানিয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা হয়। অনেক সময় খালাসের আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজে পচন ধরে যায়। পরে ব্যবসায়ীরা পচা পেঁয়াজ নিয়ে গিয়ে ভোমরা স্থলবন্দর সড়কের নবাতকাটিতে ফেলেন। এ এলাকার প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে পচা পেঁয়াজের স্তূপ তৈরি হয়েছে। পচা পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়।

স্থানীয় আকতার হোসেন ও আব্দুল গফুর বলেন, ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে সাতক্ষীরায় যাতায়াত করতে হয় তাদের। সদর উপজেলার নবাতকাটি এলাকায় পৌঁছলে দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

তারা আরো জানান, প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে বছরের ১২ মাস পচা পেঁয়াজ ফেলা হয়। এতে সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাফেরা যেমন মুশকিল হয়ে উঠেছে, তেমনি পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কের পাশের গাছ মরে যেতে শুরু করেছে। অনেক গাছ এরই মধ্যে মরে গেছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার বলেন, তার প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে। প্রতিদিনই কমবেশি পচা পেঁয়াজ পাওয়া যায়। কিন্তু ভোমরা বন্দরের ওয়্যারহাউজে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে পচা পেঁয়াজ বন্দরের কাছে রাস্তার পাশে ফেলা হয়।

ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. রেজাউল করিম বলেন, আমদানিকৃত পচনশীল পণ্যের কিছু অংশ প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যায়। আর এসব নষ্ট পণ্য ব্যবসায়ীরা বন্দরের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে ফেলে দেন। এতে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বন্দরের ওয়্যারহাউজ প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হয়, তখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উল্লেখ ছিল না।

শিগগিরই বন্দরের অভ্যন্তরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণে লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

 

রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৩০ জুন ২০১৯/শাহীন গোলদার/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়