ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পর্যটকে টইটম্বুর এখন বান্দরবান

বাসু দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পর্যটকে টইটম্বুর এখন বান্দরবান

শীতে পর্যটকে টইটম্বুর এখন বান্দরবান। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এদিকে নতুন বছর উপলক্ষে বান্দরবানে বাড়ছে পর্যটক।

শহরের বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলেই এখন আর কোনো সিট খালি নেই। পর্যটকের আগমনে মন্দা কাটিয়ে জেলার পর্যটন ব্যবসা আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

প্রতি বছর শীত মৌসুমে হাজারো পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে বান্দরবানে, এর ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। সবুজের চাদরে ঢাকা প্রাকৃতিকে দেখার এবং সারি সারি সবুজ পাহাড়ের ওপর দিয়ে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য দেখার অপূর্ব সুযোগ, ও অন্য দুই পার্বত্য জেলার চেয়ে বান্দরবানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকার কারণে বান্দরবানে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা।

বান্দরবানের নীল আচল সড়কে বসবাসরত চন্দন দাশ বলেন, গত কয়েকদিনে নীলাচল পর্যটনে এত বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে, এর আগে তা দেখিনি।

পর্যটক আগমনের কথা মাথায় রেখে জেলার পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য বর্ধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তাই জেলার নীলগিরি, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, মেঘলা, নীলাচল, নীল দীগন্ত, স্বর্ণমন্দির, রুমা উপজেলার বগালেক, কেউক্রাডং, থানচির রেমাক্রি, নাফাখুম, বড়পাথর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আগমনের কারণে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় শতাধিক হোটেল-মোটেল এক সপ্তাহের জন্য বুকিং হয়ে আছে। জমে উঠা পর্যটন ব্যবসা আগামী ১ সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এমন আশা পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্টদের।

বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল, তবে প্রচণ্ড শীতের কারণে পর্যটক জানুয়ারিতে কম আসতে পারে।

বান্দরবান সদর এবং রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য ২৫০টি চাঁদের গাড়ি ও জিপ এবং থানচির রেমাক্রি, ছোট মদক ও নাফাখুম বেড়ানোর জন্য অর্ধশতাধিক বোট ব্যবহার করে পর্যটকরা। এখন পর্যটক আসার কারণে ব্যস্ত সময় পার করছে পর্যটকবাহী গাড়ি ও বোট চালকরা। পর্যটক আসার কারণে শুধু শহরের হোটেল-মোটেল নয়, পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের ব্যবসায় এখন চাঙ্গা ভাব। শহরের বিনোদন স্পটগুলো থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা তাদের পছন্দের তাঁতের পোষাকসহ দেশীয় ফলমূল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনদের জন্য।

জেলার আলীকদম উপজেলার শৈল কুঠি পর্যটনের পরিচালক আল ফয়সাল বিকাশ বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এই বছর পর্যটকের আগমন অনেক বেশি, হোটেলে সিট সংকট দেখা দিয়েছে।

বান্দরবানের সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, পর্যটকদের আগমনের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর হানাহানিতে খুন ও অপহরণ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে বান্দরবানের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো থাকার কারণে প্রাকৃতির সান্নিধ্য পেতে বান্দরবানকে বেছে নিচ্ছে পর্যটকরা।


বান্দরবান/এস বাসু দাশ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়