ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পর্যটন করপোরেশনই পর্যটন শিল্পের বাধা

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পর্যটন করপোরেশনই পর্যটন শিল্পের বাধা

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এর দৈর্ঘ‌্য ১২০ কিলোমিটার। যেখানে ঢেউ আছড়ে পড়ছে বালুকাময় সৈকতে। পাশেই সবুজ পাহাড়। সাগর পাড়ের সত্যিকারের মনোরম আবহ খুঁজতে পর্যটকরা ছুটে আসে সৈকতের এই শহরে।

ছুটির দিনগুলোতে সৈকতে জড়ো হয় লাখো পর্যটক। কিন্তু এখনো পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি এ পর্যটন নগরীতে।

কক্সবাজারে সংশ্লিষ্ট পর্যটনকেন্দ্রিক ব‌্যবসায়ীরা দাবি করছেন,পর্যটন শিল্পকে খোদ পর্যটন করপোরেশনই বাধাগ্রস্ত করছে। তারা বলছেন, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্বেও পর্যটন কপোরেশনের পাশাপাশি সরকারি দপ্তরগুলোর অবহেলা এবং অসহযোগিতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজার।

এ শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পালনকারী পর্যটন কপোরেশনের। অথচ তাদের মালিকানাধীন চারটি হোটেলেই গত দুই বছর এনজিওর কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

সী গাল হোটেলের ম্যানেজার নুর-ই-আলম বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী এখনো কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের কোনো বিকাশ ঘটেনি। পর্যটন করপোরেশনও কোনো ধরণের ভূমিকা রাখেনি। তাহলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প এগুবে কীভাবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি হোটেলের কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে পর্যটন করপোরেশন ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু তারা ভূমিকা না রেখে বরং পর্যটন শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করছে। যেমন তাদের চারটি হোটেল-মোটেল আছে। সেগুলো কয়েকটি এনজিও সংস্থাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে পর্যটকরা স্বল্প খরচে থাকার সুবিধা পাচ্ছে না। সেই সাথে সরকারি দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে পিছিয়ে পড়ছে এই খাত। বেসরকারিভাবে কিছু হোটেল মোটেল গড়ে উঠলেও বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই বললে চলে।’

হোটেল মালিক সমিতির মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, ‘দিন দিন কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আগমন কমে যাচ্ছে। কারণ, এখানে কোনো ধরণের সুযোগ-সুবিধা নেই। তাহলে তারা এখানে কেনো আসবে? এখনো কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে পর্যটন করপোরেশন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন এক হতে পারেনি। তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজার থেকে বিদেশি পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।’

তবে কক্সবাজার পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মীর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কক্সবাজারের পর্যটনকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে বিকশিত হবে পর্যটন খাত। যেমন বিদেশিদের জন্য এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, নাইট ক্লাব, নাইট বাজার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পর্যটন করপোরেশনকে খুরুশকুলে জায়গা দেয়া হয়েছে। সেখানে এশিয়ার বৃহত্তর টাওয়ার গড়ে উঠবে। ফলে একটু সময় লাগলেও কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর অবকাশ যাপনে কক্সবাজারে ২০ লাখেরও বেশি ভ্রমণ পিপাসুর আগমন। কিন্তু উল্লেখযোগ‌্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দিন দিন কমছে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা।

 

কক্সবাজার/সুজাউদ্দিন রুবেল/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়