‘পল্লীর ৬৩.২৮ ভাগ মানুষ এনজিও’র ঋণ নিচ্ছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক : পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ ভাগ মানুষ এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮’-তে উঠে এসেছে, বর্তমানে গ্রামে পর্যাপ্ত ব্যাংক থাকলেও সেখানকার অধিকাংশ মানুষ এখনো এনজিও’র উপর নির্ভরশীল। তাদের ঋণের অন্যতম উৎস এনজিও।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনের অডিটোরিয়ামে রোববার দুপুরে ‘কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮' প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে এখন অনেক সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের শাখা আছে। কিন্তু এই ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারেনি। যার ফলে গ্রামে এনজিওর প্রাধান্য বিদ্যমান। অধিকাংশ মানুষই ফসল উৎপাদনের জন্য এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ ভাগ লোক এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে ২৬ দশমিক শূন্য ৩ ভাগ, মহাজনদের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৬৭ ভাগ এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে নিচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ। এ ঋণ নেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ফসল আবাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লী এলাকার মানুষদের ৬২ দশমিক ১৫ ভাগ ঋণ নেয় ফসল আবাদের জন্য। এছাড়া পশুপালনের জন্য ৮ দশমিক ৫৪ ভাগ, বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য ১২ দশমিক ৩৩ ভাগ, চিকিৎসার জন্য ৪ দশমিক ৯৪ ভাগ, শিক্ষার জন্য ২ দশমিক ৪৭ ভাগ, বিবাহের জন্য ৪ দশমিক ১১ ভাগ এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ঋণ নেয় ৫ দশমিক ৪৬ ভাগ মানুষ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পল্লী এলাকার এক একটি পরিবার বার্ষিক আয় করে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আসে ৭৭ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং অকৃষি খাত থেকে আসে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৭ টাকা।
পল্লী এলাকায় মোট ১২ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ জন বসবাস করে। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন আর মহিলা ৫ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৮০৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ২২ হাজার ৭২০ জন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার দাস, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আক্তার।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুলাই ২০১৯/হাসিবুল/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন