পাথর বোঝাই দুটি জাহাজ ব্রহ্মপুত্রে আটকা

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাটের পুর্বদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে দুটি পাথর বোঝাই জাহাজ ১৩ দিন ধরে আটকে আছে। ভারতের আসাম থেকে ছেড়ে আসা জাহাজ দুটিতে ৫০০ মেট্রিক টন পাথর আছে বলে জাহাজের ক্রুরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশি দুই ব্যবসায়ী ভারতের আসাম থেকে নৌপথে পাথর আমদানি করেছেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, ভুটানের পণ্য শুধু বুড়িমারী ও বাংলাবান্দা দিয়ে আমদানি করার অনুমতি আছে। দুই ব্যবসায়ী কাস্টমসের ক্লিয়ারেন্স না নিয়েই নৌপথে পাথর আমদানি করেছেন।

এই জটিলতার কারণে জাহাজ ১৩ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদে আটকা আছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে রংপুর কাস্টমস বিভাগ। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে রংপুর কাস্টমস অফিস সুত্র জানায়।

পাথর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন খান জানান, গত ২৫ জুলাই থেকে জাহাজ দুটি আটক রেখে টালবাহানা করছেন কাস্টমস্ কর্মকর্তারা। জাহাজ দুটি আটক থাকার কারণে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

কুড়িগ্রামের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জাহাজের বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ পর নিজে ফোন করার কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তিনি আর ফোন দেননি।

তবে কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জাহাজ আটকে রাখা হয়েছে তা মানতে নারাজ। তার ভাষায়, দুটি জাহাজ সাময়িকভাবে ‘চলৎশক্তিহীন’ করে রাখা হয়েছে।

রাজস্ব ও আমদানির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও কেন জাহাজ আটকে রাখা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুর কাস্টমসের (সেক্রেটারি ২য়) কর্মকর্তা আকতার হোসাইন বলেন, ‘‘ব্রহ্মপুত্র দিয়ে নৌরুটে আমদানির বিষয়ে উভয় দেশের চুক্তি হলেও বাস্তবিকপক্ষে আমরা এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। এটি তদারকি করতে চিলমারী পয়েন্টে আমাদের লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। এটি না জেনেই শেরপুরের দুই জন ব্যবসায়ী ভারত থেকে পাথর আমদানি করেছেন। ফলে জাহাজ সাময়িকভাবে ‘চলৎশক্তিহীন’ করে রাখা হয়েছে মাত্র।’’

তিনি বলেন, তারা আবেদন করেছেন। কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।  সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে. সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, আপাতত বুড়িমারী ও বাংলাবান্দা রুট ছাড়া অন্য রুটে ভুটানের পাথর আমদানি করার অনুমতি নেই।


রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/৬ আগস্ট ২০১৯/বাদশাহ সৈকত/বকুল