পানির গুণগতমান স্বাভাবিক : কার্গোর উদ্ধারকাজ শুরু বুধবার
ফাইল ফটো
বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই কার্গোর উদ্ধারকাজ তৃতীয় দিনেও শুরু হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি বিলাসের পক্ষ থেকে কোনোপ্রকার উদ্ধার তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। এদিকে ঘটনাস্থলের পানির গুণগতমান আগেরমতো আছে বলে মতামত দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সুন্দরবন পূর্ব-বন বিভাগের কাছে ডুবে যাওয়া জাহাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও জমা দেয়নি। এ কারণে বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. কামরুল হাসান এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. কামরুজ্জামান সরকার জানিয়েছেন, সোমবার ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা (পানি) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা দেখেছি পানির গুণগতমান (দ্রবীভূত অক্সিজেন-ডিও এবং পিএইচ) আগেরমতো আছে। কোনোপ্রকার ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তবে কয়লা অপসারণ শুরু হলে পুনরায় নমুনা (পানি) সংগ্রহ করা হবে।
সুন্দরবন পূর্ব-বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহামুদুল হাসান বলেন, কার্গোটি ডুবে যাওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইলেও তারা আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে ওই কার্গোটি ফিটনেসবিহীন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তারা তালবাহানা শুরু করেছেন। আমরা বিআইডাব্লিউটিএ’র মাধ্যমে ওই জাহাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার জন্য বুধবার পত্র প্রেরণ করব। এর পর যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাই তাহলে দু-একদিনের মধ্যেই কার্গোর কর্তৃপক্ষের নামে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হবে।
এমভি বিলাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) লালন হাওলাদার বলেন, পানির ভেতরের কাজ খুবই কঠিন। উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মোংলাতে না থাকায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি। মঙ্গলবার বিকেলে একটি উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার সকালে চুক্তির পর দুপুরের ভাটার পর উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
রোববার ভোরে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার ভ্যাসেল ডুবে যায়। এ সময় কার্গো জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/১৭ এপ্রিল ২০১৮/আলী আকবর টুটুল/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন