ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পাহাড়ে নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ১৩ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাহাড়ে নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় এক তরুণীকে পাহাড়ে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পাঁচ দিন বিষয়টি গোপন রাখা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে তরুণীকে জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে শনিবার বিকেলে দুই ইউপি সদস্য এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় মামলা হয়েছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাবার বাড়ি চকরিয়ার ডুলাহাজারায়। গত ৬ জুলাই তরুণী চট্টগ্রাম থেকে প্রথমে চকরিয়া আসে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহেশখালীর চালিয়াতলী স্টেশনে আসে। ওই স্টেশন থেকে ২/৩ জন লোক তাকে বাড়ি পৌছে দেবে বলে বালুর ডেইল মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে নিয়ে যায়। পরে কয়েক জন মিলে তাকে ধোয়া পাহাড়ের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে জানায়।

ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ধর্ষণকারীরা পালিয়ে গেলে পরের দিন ভোরে তরুণী বাড়ি যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য খদিজা বেগম ও লিয়াকত আলী বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পাঁচ দিন পর ফেসবুক ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে পড়লে এ ঘটনা সবার নজরে চলে আসে। এরপর শুরু হয় প্রশাসনের তৎপরতা। বাড়ি থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি প্রভাষ চন্দ্র আরও জানান, এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৬/৭ নামে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে শনিবার বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী ও খদিজা বেগম, ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নলবিলা মাঝের পাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে মনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা তদন্ত করছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুল আলম। তিনি জানান, গ্রেপ্তার তিন জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ধর্ষণের অভিযুক্ত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৩ জুলাই ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়