ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পিপি হায়দার হত্যায় ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের দাবি

অলোক সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ১১ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পিপি হায়দার হত্যায় ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের দাবি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন হত্যার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হয়নি।

২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল হালিম। রায় ঘোষণার পরে দুই বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও তা কার্যকর হয়নি। রায়ের দিন আদালতে আসামি তানভীর, মুরাদ, আমীর উপস্থিত ছিলেন এবং বেল্লাল ও সগির পলাতক রয়েছেন।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যদের বোমায় ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাড়ে নিহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী হায়দার হোসাইনকে ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা।

দীর্ঘসূত্রিতা এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। ফাঁসির আদেশ দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহত হায়দার হোসাইনের পরিবারের সদস্যরা।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যদের বোমায় ঝালকাঠি আদালতের সহকারী বিচারক সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাড়ে নিহত হন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা পর্যায়ক্রমে আটক হন। জঙ্গিদের ঝালকাঠিতে এনে জেলা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার চলে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন। কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আদালতে জেএমবির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করতে সক্ষম হন তিনি। যার প্রেক্ষিতে আদালত ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন।

নিহত পিপির ছেলে ও মামলার বাদী তারিখ বিন হায়দার বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।’ ন্যায় বিচারের জন্য সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি পাঁচ সদস্যের রায় এখনো কার্যকর করা হচ্ছে না। হত্যাকারীদের মধ্যে দুইজন এখনো পলাতক।’ 

পলাতক দুই আসামি পুনরায় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অতিরিক্ত পিপি এম আলম খান কামাল বলেন, পাঁচজনের ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামিদের নথিপত্র উচ্চ আদালতে গেলেও এরপর কী হয়েছে এ ব্যাপারে তাদের কাছে তথ্য নেই। তবে উচ্চ আদালতের আইনি প্রক্রিয়া শেষ  করতে সময় লাগে।

অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার  পারিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।  



রাইজিংবিডি/ঝালকাঠি/১১ এপ্রিল ২০১৭/অলোক সাহা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়