পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৫০ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নেতৃত্বে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও জেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের প্রথম দিনে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও যাচাই করা হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযানে দুজনের জেল, ৫০টি মামলা এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ তিনটি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।

ডিএসসিসি, বিআরটিএ, ডিএমপি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান চালাচ্ছেন। রাজধানীর গুলিস্তান, দৈনিক বাংলার মোড় ও মতিঝিল এলাকা দিয়ে অভিযান শুরু করা হয়।

এ ব্যাপারে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করেছিলাম মার্চ মাস থেকে ডিএসসিসি এলাকায় ২০ বছরের পুরোনো কোনো গাড়ি চলবে না। সে ঘোষণা অনুযায়ী পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘লাইসেন্সবিহীন কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না। আমরা অভিযান শুরু করেছি, অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরিবহন মালিকদের অনুরোধ করব তারা যেন আইন মেনে চলেন।’ 

ডিএসসিসি সূত্র জানায়, রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ির পাশাপাশি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও যাচাই করা হচ্ছে। আজ সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নগর ভবনের সামনে থেকে নিজে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

অভিযানে ডিএসসিসির মো. মামুন সরদার, বিআরটিএর পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সালামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সূত্র জানায়, রাজধানীর ১৯৩টি রুটে প্রায় সোয়া ৩ হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০-থেকে ১ হাজার ৩০০ বাস চলাচলের অনুপযোগী। সে বাসগুলো আর রাজধানীতে চলতে পারবে না। কয়েক মাস ধরে বিআরটিএ এসব পুরোনো বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এখন কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ফিটনেস টেস্ট করা হয়। সে কারণে পুরোনো বাসগুলোকে আর ফিটনেস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ, বিআরটিএ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র সাঈদ খোকন ঘোষণা দেন, ২০ বছরের অধিক সময় ধরে ব্যবহৃত বাস রাজধানীতে আর চলতে দেওয়া হবে না। পরে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ নাগকে প্রধান করে এ-সংক্রান্ত একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য রাখা হয় তিন সংস্থার তিন কর্মকর্তাকে। আর প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে। আর এর ধারবাহিকতায় আজ এ অভিযান শুরু হয়েছে।  

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মার্চ ২০১৭/আসাদ/ হাসান/এসএন/এএন