ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পুলিশে চাকরি দেওয়ার চুক্তিতে লেনদেন, এসআইসহ গ্রেপ্তার ২

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ২২ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুলিশে চাকরি দেওয়ার চুক্তিতে লেনদেন, এসআইসহ গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা লেনদেনের সময় হাতেনাতে পুলিশের এক এসআইসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- জামালপুর সদর আদালতে কর্মরত এসআই মোহাম্মদ আলী ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মো. খায়রুল বাশারের স্ত্রী শাহানাতুল আরেফিন সুমি (৩৫)। এসআই মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে।

শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, শেরপুর সদর থানার তারাগড় নামাপাড়া গ্রামের মো. ওয়াজেদ আলী তার ভাতিজা মো. কবির হোসেনকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেবে বলে চুক্তি করে। সেই ১০ লাখ টাকা নিয়ে দুই আসামি ও ওয়াজেদ আলী গাড়িতে করে জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হয়। গাড়িতে বসেই তারা টাকা লেনদেন করে।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রাইভেটকারে ওয়াজেদ আলীকে রেখে টাকার ব্যাগ নিয়ে সুমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যায়। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে সুমি ব্যাগ থেকে টাকা তার স্বামী কথিত সাংবাদিক মো. খায়রুল বাশারকে দেয়। টাকা নিয়ে খায়রুল বাশার চলে যায়। বিষয়টি ওয়াজেদ আলী দেখে ফেলায় তার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। ওয়াজেদ আলী পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে সুমি তাকে জানায়- এসপি’র গেস্ট এসেছে। তিনি এখন দেখা করতে পারবেন না। এরপর সুমির সঙ্গে ওয়াজেদ আলীর বাকবিতণ্ডা হয়। তখন ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে ডিবি পুলিশের এসআই মো. ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েকজন যাওয়ার সময় তারা জানাতে চাইলে ওয়াজেদ আলী বিস্তারিত বলেন।

তখন তাদের আটক করে সুমির ব্যাগ থেকে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, সুমির স্বামীর নামে সাংবাদিক আইডি কার্ড জব্দ করেন। সুমিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বাকি ৮  লাখ ৫ হাজার টাকা তার স্বামী খায়রুল বাশারের কাছে আছে বলে জানান। 

শনিবার ওই তিনজনের নামে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ১ জুলাই টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে লোক নেওয়া হবে। সেখানে সরকারি নির্ধারিত ফি ১০০ টাকা ও ফরমের ৩ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে অবৈধ টাকা লেনদেন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখানে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলীকেও ছাড় দেওয়া হয়নি।




রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/২২ জুন ২০১৯/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়