‘পুলিশের মনোবল দুর্বল করতেই হামলা’
মনোবল দুর্বল করতেই রাজধানীর পাঁচ স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানান।
তিনি জানান, রোববার রাতে রাজধানীর শনিরআখড়ায় অভিযান চালিয়ে জামাল উদ্দিন রফিক ও আনোয়ার হোসেন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। ঢাকা শহরে পুলিশের ওপর পাঁচ স্থানে বোমা হামলার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত।
রফিকের নেতৃত্বে গুলিস্তান, মালিবাগ, পল্টন, খামারবাড়ি এবং সর্বশেষ সায়েন্সল্যাব মোড়ে বোমা হামলা করা হয়। বোমাগুলো রফিক তার বাড়িতে তৈরি করেছিলেন। ইতোমধ্যে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ফরিদ উদ্দিন রুমির, আব্দুল্লাহ, মেহেদী ও হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ মে নারায়ণগঞ্জে রফিকের বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা কালো পোশাক পরে খেলনা পিস্তল অস্ত্র-বোমাসহ সুইসাইডাল ভেস্ট দেখিয়ে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথাবার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে প্রচার করেছিল। পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া ও জঙ্গি সংগঠনের সক্ষমতা বাড়াতে ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে। হামলাও করা হয় একই উদ্দেশ্যে।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনেই কুয়েট থেকে পড়াশোনা করেন। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে তারা দুজন বেশ কিছু অর্থ উপার্জন করে। তা দিয়েই মূলত বিভিন্ন কেমিক্যাল ক্রয় করে এবং হামলার খরচের যোগান দেন।’
গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে নব্য জেএমবির নতুন কোনো সেল করা হয়েছে কি না, নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হবে।
ঢাকা/মাকসুদ/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন