ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রযুক্তি নির্বাহীদের শাস্তির বিধান রেখে যুক্তরাজ্যে নতুন আইন

মোখলেছুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১০, ৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রযুক্তি নির্বাহীদের শাস্তির বিধান রেখে যুক্তরাজ্যে নতুন আইন

প্রতীকী ছবি

মোখলেছুর রহমান : শিশু, নারী এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। আর দেশটির প্রস্তাবিত এই নতুন আইন অনুসারে নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে ফেসবুক, গুগল এর মতো বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জরিমানা সহ এবং ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।

সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত আইনটিতে এই শাস্তির বিধানগুলো তুলে ধরা হয় যে- এখন থেকে এই আইনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য যেকোনো ধরনের বেআইনি বা বিদ্বেষমূলক কন্টেন্ট এর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে আইনিভাবে দায়বদ্ধ করবে।

যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই আইনটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করার জন্য একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৈরি করা হবে, যা সহিংসতা উদ্দীপ্ত করে এমন কন্টেন্টগুলো অপসারণের উপর মনোনিবেশ করবে। আত্মহত্যায় উৎসাহমূলক বা সাইবার অপরাধজনিত কন্টেন্টগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে দিবে এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি সন্ত্রাসবাদ ও শিশু নির্যাতনের সঙ্গে সম্পর্কিত কন্টেন্টগুলো কঠোর ভাবে মোকাবেলা করা হবে।

সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ সমস্ত আপত্তিকর কন্টেন্ট মোকাবেলার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে যুক্তিসঙ্গত এবং আনুপাতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় নতুন আইন অনুসারে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। গুজব এবং ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কোম্পানিগুলোকে তাদের নীতিমালায় একটি ‘কোড অব প্র্যাকটিস’ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময়গুলোতে ডেডিকেটেড ফ্যাক্ট চেকার্স এর মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর এবং ক্ষতিকারক কন্টেন্টগুলো যাচাই এর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এছাড়াও নতুন এই আইন অনুসারে কোম্পানিরগুলোর একটি সহজ এবং কার্যকর ‘অভিযোগ গ্রহণ ব্যবস্থা’ থাকতে হবে, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের অভিযোগগুলো সময়মতো এবং স্বচ্ছ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে জানাতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে ক্ষতিকারক কন্টেন্টের পরিমাণ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বাধ্য হবে এবং সমস্যাটির সমাধান করতে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাও ব্যাখ্যা করতে হবে।

এই আইনের অধীনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে যুক্তরাজ্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ বন্ধ করে দিতে পারবে এবং দেশটিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারবে। এছাড়াও বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান না করেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সিনিয়র পরিচালকদের সাধারণ জরিমানা এবং ফৌজদারি শাস্তির সম্মুখীন করতে পারবে।

নতুন এই আইনটি ফেসবুক, টুইটার, গুগল, ইউটিউব ছাড়াও রেডিট এর মতো জনপ্রিয় ইন্টারনেট বার্তা প্ল্যাটফর্মগুলোর উপরও বলবৎ হবে।

সূত্র: সিএনএন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ এপ্রিল ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়