ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রশিক্ষণে ইসির অতিরিক্ত চাহিদা ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ২ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রশিক্ষণে ইসির অতিরিক্ত চাহিদা ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদের কয়েকটি শূন‌্য আসনের নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ কারণে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের এ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের অতিরিক্ত ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাজেটের ইভিএম এর ব্যবহারের প্রশিক্ষনের জন্য ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ও ইতিমধ্যে কয়েকজন সংসদ সদস্যের মৃত্যু ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের কারনে কয়েকটি আসন শূন‌্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে  অপ্রত্যাশিত কয়েকটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

সূত্র জানায়, এসব নির্বাচন ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দিতে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ বিভাগকে লেখা ইসির উপসচিব আব্দুল মমিন সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি অর্থ বছরে ইভিএম এর প্রশিক্ষণের  জন্য এমনতেই বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থবছরের ছয় মাস না যেতেই অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া বাজেটের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হবে।

ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং সাধারণ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বেশকিছু নির্বাচন ইভিএমে সম্পন্ন হবে। এজন‌্য চার ধরনের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ই-ফাইলিং, ভিডিও মডিউল ও নতুন বাজেট ও  হিসাবরক্ষণ শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি প্রশিক্ষণসহ আরো কয়েক ধরনের প্রশিক্ষণ উপলক্ষে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের প্রশিক্ষণ খাতে জুন ২০২০ মাস পর্যন্ত ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বাজেট সংস্থান প্রয়োজন হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন  নির্বাচন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন, জাতীয় সংসদের শূন‌্য  আসনে উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের কয়েকটি স্তরের নির্বাচনি প্রশিক্ষণসহ ১৫ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য জানুয়ারি ২০২০ মাস হতে ৩১ র্মাচ ২০২০ পর্ষন্ত সময়ের জন্য বাজেটে সংস্থানকৃত ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।

চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ইভিএমএর প্রশিক্ষণ বেশি অর্থ প্রয়োজন রয়েছে তার পরিমাণ হচ্ছে- ১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এ অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।  মাঠ পর্ষায়ে ই-ফাইলিং বিষয় প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। নিকস, নিপ্রই ও মাঠ পর্ষায়ে কর্মকর্তাদের অফিস ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাবদ রাখা হচ্ছে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

রাজধানীর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে অনড় অবস্থানে রয়েছে ইসি। ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই ভোটযুদ্ধে অংশ নিলেও শুরু থেকেই ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছে বিএনপি। এরই মধ্যে ইসি কর্মকর্তা সাইদুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ১৫ হাজার ভোট কক্ষে ব্যবহারের জন্য ৩৫ হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডিএনসিসিতে আসন্ন নির্বাচনে এক হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৫১৬টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

আর ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ডিএসসিসির এক হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৯৯৮টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। সেখানে মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন ভোটার রয়েছেন।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়