ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ: কারিকুলামে আসছে বড় পরিবর্তন

মাছুম বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ৭ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ: কারিকুলামে আসছে বড় পরিবর্তন

মাছুম বিল্লাহ: একটি দেশ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করে। কারণ শিক্ষা সার্বজনীন বিষয় যা ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এবং আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। নতুন সময়, তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবন, বিজ্ঞানের অবিস্মরণীয় যাত্রা– সব কিছু প্রাধান্য দিতে হবে কারিকুলামে। আধুনিক বিশ্বের পাঠ্য কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশের নতুন শিক্ষা কার্যক্রম। সমাজ ও যুগের চাহিদা এবং সমকালীন জ্ঞানের যে বিস্তার ঘটেছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। শিক্ষা নিয়ে অনেকেই গবেষণা করছেন, উদ্দেশ্য একটিই-  সার্বিক পরিবর্তন নিয়ে আসা। শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, বিয়োজন ও নিত্যনতুন প্রদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করা প্রয়োজন। শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হতে হবে যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে দক্ষ, প্রয়োজনীয়, দেশ ও মানবকল্যাণমুখী  মানবসম্পদে পরিণত করা। আশার কথা, সরকার দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে কারিকুলামে পরিবর্তন আনছেন। আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, এসডিজি-৪ অর্জন, উন্নত দেশের তালিকাভুক্ত হওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান, শিক্ষানীতি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় এনে আমাদের কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক কারিকুলাম, জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি সুসংবাদ।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের কাজে যোগদানের তিন বছরের মধ্যে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ও বিএড কোর্স সম্পন্ন করার কথা। বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য সরাসরি প্রশিক্ষণ কাল রয়েছে, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচটি এইচএসটিটিআই এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও দূরশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবছর বিএড ডিগ্রি প্রদান করে। এ ছাড়াও শতাধিক বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও শিক্ষকতা পেশা হিসেবে কেমন এবং এ যুগে শিক্ষার্থীর সঙ্গে আচরণের ধরন কী হবে তার কোনো যুগোপযোগী দিকনির্দেশনা কিন্তু প্রচলিত বিএড প্রশিক্ষণে সেভাবে নেই। প্রতিবছর নতুন নতুন ধারণা নিয়ে শিশুরা ক্লাসে আসে। ভুলে গেলে চলবে না, তাদের সব ভাবনা, ধারণা ইউনিক হয়। কোনো সুনির্দিষ্ট ফর্মুলাতে তাদের ফেলা সম্ভব না এবং তাদের সমস্যাগুলো ছকে বেঁধে সমাধান দেয়া সম্ভব না। একজন শিক্ষককে প্রত্যেক পরিস্থিতি ধারণ করার তাৎক্ষণিক সহজাত ক্ষমতা থাকতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে শ্রেণির চল্লিশজন শিক্ষার্থী একইভাবে হাঁ বা না বলবে না। সেদিকটি বিবেচনায় রেখে কারিকুলাম সাজাতে হবে।  

জানা গেছে, প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কারিকুলাম বা পাঠক্রমে আসছে বড় পরিবর্তন। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ পরিবর্তন আনা হবে। পাঠক্রম পরিবর্তিত হলেও বিষয় বা বইয়ের সংখ্যা কমানো হবে না। মূলত কারিকুলামের চাহিদা অনুযায়ী হবে বইয়ের সংখ্যা। তবে প্রতিটি বিষয়ে সিলেবাসের (পাঠসূচি)ব্যাপ্তি কামিয়ে আনা হবে। নতুন পাঠক্রম অনুযায়ী বিষয়সংখ্যা কমানোর সম্ভাবনা খুবই কম। পাঠক্রম পরিবর্তনের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম বিভাগ এবং মাদরাসা বোর্ড আলাদাভাবে কাজ করছে। জানা যায় ২০২১ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠক্রম অনুযায়ী বই পাবে। ২০২২ সালে পাবে তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম ও একদাশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা নতুন পাঠক্রম অনুযায়ী বই পাবে। ওই বছর থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা হবে নতুন পাঠক্রম অনুযায়ী। ২০২৪ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও হবে নতুন পাঠক্রমে। 

২০১২ সালে সব পাঠক্রমেই সর্বশেষ পরিবর্তন এনেছিল এনসিটিবি। পাঁচ বছর পরপর পাঠক্রমে পরিবর্তন আনার নিয়ম থাকলেও এবার পরিবর্তন আসছে নয় বছর পর। একইসঙ্গে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি করার বিষয়েও কাজ চলছে। বর্তমানে প্রথম শ্রেণির আগে সরকারি স্কুলে একটি শ্রেণি আছে। কিন্তু আগামী দিনগুলোতে প্রথম শ্রেণির আগে সরকারি স্কুলেও দুটি শ্রেণি পড়তে হবে শিশুদের। আর প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রেখে ধারাবাহিক মূল্যায়নের লক্ষ্যেও কাজ চলছে। শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কাজ হবে কয়েকটি ধাপে। প্রথম ধাপে শিক্ষাক্রমের ত্রুটি, বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা বের করা, দ্বিতীয় ধাপে বিশেষজ্ঞরা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা খুঁজে বের করবেন। কাজটি বর্তমানে চলছে। এরপর একাধিক কর্মশালা ও গবেষণা শেষে নতুন পাঠক্রম তৈরি করা হবে। বর্তমানে এনসিটিবির পাঠক্রম অনুযায়ী প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি করে পাঠ্যবই এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি করে পাঠ্যবই পড়তে হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩টি পাঠ্যবই পড়তে হয়। নবম-দশম শ্রেণিতে ২৭টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৯টি পাঠ্যবই আছে। তবে, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আলাদা আলাদা থাকায় নবম-দশম ও একাদশ শ্রেণিতে সব শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ের বই পড়তে হয় না। মাদরাসার ধর্মীয় চারটি বিষয় কোরআন, আকাইদ ও ফিকাহ, হাদিস এবং আরবীর পাঠক্রমেই মূলত পরিবর্তন আসছে। কোরআনের বিভিন্ন সূরা একবারে নাজিল হয়নি, ধাপে ধাপে নাজিল হয়েছে। কোনো সুরা দীর্ঘ সময় নিয়ে নাজিল হয়েছে। এসব সুরা নির্দিষ্ট বয়সের জন্য নির্ধারিত নয়। পুরো সুরা একটি শ্রেণির জন্য পাঠ্য করায় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ পড়ে। তাই পাঠক্রম পরিবর্তনে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হবে। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এখন আর কোনো কিছুতেই পিছিয়ে নেই। তারা সাধারণ শিক্ষার শিক্ষার্থীদের চেয়ে চারটি বিষয় বেশি পড়ছে। মেডিকেল, বুয়েটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদরাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা পড়ছে। নতুন পাঠক্রমে তাদের আরও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, মাদরাসার মূল শিক্ষা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

কারিকুলাম একটি ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়। এর ব্যাপ্তি এমন হতে হবে যাতে দশ বছর, এক যুগ বা তারও বেশি সময় ধরে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে সেগুলোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করানোর জন্য, জানানোর জন্য পাঠক্রমে শিক্ষাদানের স্বাধীনতা থাকতে হবে, স্থিতিস্থাপকতা থাকতে হবে। আমাদের কারিকুলাম তৈরি করার পর তার সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষা প্রশাসক, প্রশিক্ষক, শিক্ষার্থী কারুর কোনো পরিচয় বা যোগাযোগ থাকে না। তাদের যোগাযোগ থাকে শুধুমাত্র পাঠক্রম অর্থাৎ সিলেবাস নিয়ে। এই বিষয়টিতে এনসিটিবির লক্ষ্য রাখতে হবে। এনসিটিবি এবং প্রাইভেট পাবলিশার্সগণও এই সুযোগ নিয়ে থাকেন। তারা প্রতিবছর প্রশ্নের ধরনে একটু একুট করে ভিন্নতা নিয়ে আসেন। এটি খুব সৎ উদ্দেশ্যে যে করা হয় তা নয়। এর পেছনে অর্থনৈতিক কারণ জড়িত। কারিকুলামে বিষয়টি এমনভাবে বলতে হবে এবং প্রচার করতে হবে যাতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা বিভ্রান্ত না হন। একটি প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন করলেই বড় কোন পরিবর্তন হয় না। কারিকুলামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে হবে সিলেবাসের মাধ্যমে। সেখানে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা, প্রান্তিক যোগ্যতা, দক্ষতা অর্জন করার জন্য শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের বিষয়টিকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হতে পারে অর্থাৎ বিভিন্নভাবে প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের যাচাই করা যেতে পারে যে, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কী কী যোগ্যতা শিক্ষার্থীদের অর্জন করার কথা সেগুলো তারা করতে পেরেছে কিনা। কিন্তু আমরা দেখছি, প্রশ্নে একটু পরিবর্তন হলেই সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে যায়।

নতুন কারিকুলামে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হবে সম্ভাব্য সেগুলো হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা,  উন্নত দেশে পরিণত হতে রূপকল্প-২০৪১ অর্জন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কারিকুলামের সঙ্গতি। আজ যে শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে সে হয়তো ১৫-১৬ বছর পরে চাকরির বাজারে প্রবেশ করবে। তাই তখন চাকরির বাজারে কী ধরনের চাহিদা থাকবে, তা বিবেচনায় নিয়ে পাঠক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। বেসিক ফাউন্ডেশন ঠিক রেখে বইয়ের বোঝা যাতে কমানো যায় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। কারিকুলামের চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কিছু যেন না থাকে পাঠ্য বইয়ে, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ বা এমন কোনো আলোচনার সূত্র জিহাদের অপব্যাখ্যা না রাখার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে তরুণ সমাজের অবদান, নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধ করা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টির বিষয়গুলোতে জোর দেয়া উচিত।

শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করলেই বা শুধু পড়লেই শিক্ষা অর্জন হয় না। শিক্ষা অর্জন হতে পারে ফর্মাল, ইনফর্মাল ও নন-ফর্মাল। যে কোনো উপায়েই হোক শিক্ষা যখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থীরা আনন্দভরে একটি বিষয় শেখে সেটিকে আমরা সুশিক্ষা বলতে পারি। করে করে শেখা অর্থাৎ Learing by doing-এর মতো শিক্ষা হচ্ছে কার্যকরী শিক্ষা। শিক্ষা ও দক্ষতা একটি অপরটির পরিপূরক। একটি ব্যতীত অন্যটি কার্যহীন। কারিকুলাম সার্বিক বিষয়। একটি হাতিকে হাতি রূপেই ধারণা করা, অনুভব করা, আঁকতে পারা, বর্ণনা করতে পারা, দেখতে পাওয়া হচ্ছে সার্বিক বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের সেভাবে তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের আমরা পরীক্ষার্থী বানিয়ে ফেলছি। ফলে একটি হাতিকে কেউ কেউ মনে করে হাতি হচ্ছে গোলাকার থাম্বা, কেউ মনে করে দুটো কুলোর মতো, কেউ মনে করে একটি রশির মতো আবার কেউ মনে করে একটি বড় দেয়াল। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী একটি হাতির পা কী রকম, কান কী রকম, লেজ কী রকম, চোখ দুটো কী রকম সবই যখন সুন্দরভাবে পারবে তখনই বলতে পারবো আমাদের কারিকুলামে একজন শিক্ষার্থীর বয়সভেদে, শ্রেণিভেদে যা যা জানার কথা সেগুলো সে জেনেছে, সফল হয়েছে কারিকুলাম তৈরি।

লেখক: শিক্ষা গবেষক ও বিশেষজ্ঞ

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুলাই ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়