প্রেমিকাকে না পেয়ে নিজে অগ্নিদগ্ধ যুবকের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় প্রেমিকাকে না পেয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিশ্বজিত দে। আগুন সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়লে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দেন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রকাটি দাসপাড়া গ্রামে বিশ্বজিত দে (২২) নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিশ্বজিত দে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সন্তোষ দের ছেলে।
খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, বিশ্বজিত কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ে করতে গত ৩০ আগস্ট মেয়েটির বাড়িতে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় ‘পরে বিয়ে দেয়া হবে’ বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন মেয়ের অভিভাবকরা। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশ্বজিতের তিন বন্ধু মেয়ের অভিভাবককে বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। তবে মেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়- বয়স না হলে বিয়ে দেবেন না।
তিনি জানান, এরপর শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্বজিত নিজে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মেয়ের পরিবার রাজি না হওয়ায় সেখানেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
তবে বিশ্বজিত দের মামা সঞ্জয় দত্ত বলেন, উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাটি গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিশ্বজিতের। সেই সুবাদে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে বিশ্বজিতকে মারপিট করে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পুকুরে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে।
তালা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিশ্বজিত মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/শাহীন গোলদার/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন