প্রয়োজনে দোভাষীর সাহায্য নেবেন ল্যাঙ্গাভেল্ট
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ভাষাগত সমস্যাকে বড় ইস্যু মনে করছেন না বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট।
কোর্টনি ওয়ালশ বাংলাদেশের পেসারদের কতোটুকু উপকারে এসেছেন তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল বিশ্বকাপের পর। বিশেষ করে শেষ দুই বছরে পেসারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে ওয়ালশের ওপর চটেছিল অনেকেই। কিন্তু ভেতরের খবর হচ্ছে, ক্যারিবীয়ান এ কিংবদন্তির কথা বুঝতেন না অধিকাংশ পেসাররাই! ভাষাগত সমস্যার কারণে ওয়ালশের থেকে পুরোটা নিতে পারতেন না পেসাররা! সিনিয়র ক্রিকেটাররা পেসারদের অনেক সময় সাহায্য করলেও পেসাররা সরাসরি ওয়ালশের থেকে বুঝতেন কম। ফলে উন্নতির থেকে অবনতি হয়েছে বেশি।
বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট মনে করেন তার কাজ করার ক্ষেত্রে ভাষা বড় কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে দোভাষীর সাহায্য নিয়ে পেসারদের বোঝাবেন তিনি।
‘আফগানিস্তানে কোচ থাকাকালীনও ভাষা একটি সমস্যা ছিল। আমার অভিজ্ঞতা যা বলে, দল হিসেবে কাজ করার চেয়ে যদি একজন একজন ধরে কাজ করা যায় তাহলে খেলোয়াড়রা স্বাচ্ছন্দবোধ করে। আমি জানি তাদের কিভাবে সামলাতে হবে। যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে আমাকে দোভাষীর সাহায্য নিতে হবে যে কিনা আমাদের কাজটা সহজ করে দেবে। জানি এটা চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে আমি উন্মুখ।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নতুন বলে সাফল্য পাচ্ছে কম। পাশাপাশি বোলারদের বৈচিত্র্যের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। ল্যাঙ্গাভেল্টের বিশ্বাস কয়েক মাসের কাজে পেসাররা খুঁজে পাবেন নিজেকে। নতুন বলে সাফল্য আসার পাশাপাশি বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের দেখা মিলবে।
‘দেখুন বোলিংয়ে বাউন্স পাওয়ার পর লম্বা বোলারের প্রয়োজন হয়। আমাদের শুধুমাত্র তাসকিন আছে। ইনজুরি ছাড়া খেলতে পারলে সে ভালো করবে। আমার মতে বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার জন্য আপনাকে আক্রমণাত্মক এবং সঠিক লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে হবে।’
‘ইয়র্কার সব সময়ই উপকারী। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেট এতোটাই পরিবর্তন হয়েছে যে আপনি যদি ইয়র্কার মিস করেন আপনার বলটি ছয় হতে পারে। এজন্য সঠিক জায়গায় ইয়র্কার ফেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিত্যদিনের অনুশীলনের পর যদি আপনি ২০টি বল ইয়র্কার করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি ফল পাবেন।’ – বলেছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন