ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্লুটোর বরফের নিচে বিশাল মহাসাগর

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৬ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
প্লুটোর বরফের নিচে বিশাল মহাসাগর

নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, আমাদের সৌরজগতের বামন গ্রহ প্লুটোর বরফ ঢাকা উপরিভাগের নিচ দিয়ে ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে থেকেই বয়ে চলেছে বিশাল এক মহাসাগর। এটি পৃথিবীর মহাসাগর সৃষ্টিরও ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল। বরফ ঢাকা গ্রহ প্লুটো সূর্য থেকে ৩.৭ বিলিয়ন মাইল দূরে।

নতুন গবেষণায় আরো জানা গেছে, সৃষ্টির সময় হয়তো উষ্ণ ছিল প্লুটো। সে সময় তাতে পানি ছিল, যা প্রাণ ধারণের উপযোগী। প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী প্লুটো বরফে ঢাকা গ্রহ হিসেবেই জেনে আসছি আমরা। সেই বরফ এক পর্যায়ে গলে নিচের ভাগে পানি সৃষ্টি হয়েছে বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের।

নাসা’র নিউ হরাইজন মহাকাশ যানের তোলা ছবি বিবেচনা করে নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহটির উপরিভাগের এক মাইল নিচের সারি সারি পাহাড়ের চূড়া ও পানি প্রবাহের খাল দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এক সময় গ্রহ হিসেবেই স্বীকৃতি পেতো প্লুটো। কিন্তু নেপচুন গ্রহের পরবর্তী অংশ থেকে গ্রহের ভগ্নাংশ বা মহাজাগতিক বস্তুদের যে বিশাল সমারোহ আছে, সেই কুইপার বেল্টে থাকা প্লুটোকে পরে বামন গ্রহ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ২০০৬ সালে।

গবেষণায় জানা গেছে, কুইপার বেল্টে থাকা বামন গ্রহ হাওমিয়া এবং মেকমেকও এক সময় উষ্ণ ছিল এবং সেখানেও হয়তো প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ ছিল। নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশ হওয়া গবেষণাটিতে আরো বলা হয়, গ্রহাণু বা মহাজাগতিক বস্তু প্লুটোর উপর আছড়ে পড়ার কারণেই বামন গ্রহটিতে উষ্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। প্লুটোর উপরিভাগে থাকা পাথরের রেডিওঅ্যাকটিভ ক্ষয় হওয়ার কারণেও উষ্ণতা তৈরি হয়। প্লুটোর এই ‘গরম কাল’ ছিল ৩০ হাজার বছর পর্যন্ত। এরপর থেকে আর বামন গ্রহটি উষ্ণ হয়নি।

পৃথিবীতে মহাসাগর তৈরি হয় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে, যখন পৃথিবীর বয়স ছিল ৭০০ মিলিয়ন বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন প্লুটো উষ্ণ থাকাকালে তাতে প্রাণের অস্তিত্ব হয়তো ছিল। যেহেতু পানি থাকা মানে জীবনের অস্তিত্ব থাকা, তাই প্লুটোর বরফের নীচে বহমান পানির মহাসাগর প্রাণী থাকার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়, বলছেন বিজ্ঞানীরা। তারা আরো বলছেন, প্লুটোর মতো বামন গ্রহ এরিস, মেকমেম এবং হাওমিয়াতেও বরফের নিচে পানি থাকতে পারে। ২০১৬ সালে প্রথম প্লূটোর বরফ আাচ্ছাদিত উপরিভাগের নিচে টেক্সাসের আকারের একটি জায়গায় পানির অস্তিত্ব আছে জানতে পারে নাসা। সেই জায়গাটার নাম দেয়া হয় ‘স্পুটনিক প্লেনটিয়া’।

 

ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ