ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফণির প্রভাবে খুলনায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৪ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফণির প্রভাবে খুলনায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে খুলনায় শুরু হয়েছে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি।

শুক্রবার গভীর রাত থেকে খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপসহ কয়েকটি উপজেলায় হানা দেয় ফণি। এতে শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। শনিবারও যা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। কয়েকটি উপজেলায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে।

কয়রা উপজেলার ঘাটাখালী অবস্থানরত কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপকূলীয় কয়রা অঞ্চলে প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়। প্রবল বাতাসে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

তিনি জানান, ফণির প্রভাবে কপোতাক্ষ নদের পানি বেড়ে গেছে। পানির প্রবল বেগে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।

কয়রার বাসিন্দা আবু সাঈদ খান বলেন, ‘প্রবল বেগে ঝড় শুরু হলে রাতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সড়কের কানায় কানায় জোয়ারের পানি উঠে গেছে। যেকোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে নিম্নাঞ্চল।’

এদিকে হঠ্যাৎ করে খুলনার দাকোপ ও পাইকগাছায় ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে বজ্রপাত। বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে বাইরে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো লোকজনে পূর্ণ। অনেকে আবার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের বহুতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে খুলনার উপকূলবর্তী চার উপজেলার ১ লাখ ১১ হাজার পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়রা উপজেলার ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার পরিবার, দাকোপ উপজেলার ৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার পরিবার এবং পাইকগাছা উপজেলার ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার পরিবারকে নেওয়া হয়। এসব উপজেলার অন্যান্য বাসিন্দাদেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হচ্ছে। নৌকা, ট্রলারসহ ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে খুলনার নয়টি উপজেলার সকল ইউনিয়নে একটি ও প্রতি উপজেলা সদরে পাঁচটিসহ মোট ১১৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/খুলনা/৪ মে ২০১৯/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়