ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘ফাইনাল বিক্রি’, প্রমাণ মেলেনি লঙ্কান পুলিশের তদন্তে

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ৩ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘ফাইনাল বিক্রি’, প্রমাণ মেলেনি লঙ্কান পুলিশের তদন্তে

২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে চলমান বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে শ্রীলঙ্কার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট (এসএইইউ)। ভারতের কাছে ফাইনাল বিক্রি করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা, এমন অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি তাদের তদন্তে। আর তাই শুরুর চারদিনের মাথায় তদন্তটি বন্ধ ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কান পুলিশ।

শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানান্দা অতুলগামাগে সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন, ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর এই কাজে কোনো ক্রিকেটার জড়িত না থাকলেও অফিসিয়ালরা সংযুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, ফাইনালের আগে চারজন খেলোয়াড় বদলির ঘটনা টেনে পাতানোর অভিযোগকে আরও শক্তভাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন সাবেক এই ক্রীড়ামন্ত্রী। যিনি কিনা সেই বিশ্বকাপের সময়ে এই দায়িত্বে ছিলেন।

তবে তাঁর এমন অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন সেই ফাইনালের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে। তারা এই অভিযোগের প্রমাণের সত্যতা দাবিও করেন। তাদের সঙ্গে এক হোন সাবেক বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ও ২০১১ বিশ্বকাপে লঙ্কান দলের প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভা। তারা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।

পরবর্তীতে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কান পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট (এসএইইউ) এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। তারা ডি সিলভা এবং সাঙ্গাকারার যথাক্রমে ৬ ও ১০ ঘন্টার জবানবন্দি নেন। এমনকি উপুল থারাঙ্গাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে এসএইইউ। আর আজ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেই ফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান জয়াবর্ধনেকেও। তবে সেখানে সেই ফাইনাল পাতানোর কোনো প্রমাণই পায়নি তারা। আর তাই তদন্ত বন্ধ করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাবর রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে তারা।

যেখানে তারা বলেছে, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ ভাবে আলোচনা করে তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা আমাদের রিপোর্ট তৈরি করে লঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি।’

নিজেদের রিপোর্ট নিয়ে এসএইইউয়ের প্রধান ফনসেকা বলেন, ‘আমরা এই বিষয় নিয়ে ক্রিকেটারদের আরও প্রশ্ন করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ক্রিকেটারদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট। তদন্ত এখন বন্ধ। ফাইনাল ম্যাচের দলে পরিবর্তন আনার যৌক্তিক ব্যাখ্যাও তারা দিয়েছে। অবৈধ কাজের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’

শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেটে দুর্নীতি এবং ম্যাচ পাতানোকে গত নভেম্বর ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল এবং ১০ কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হয়।


ঢাকা/কামরুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়