ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ৫০ হাজার লোক কাজ পাবে

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২৭ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ৫০ হাজার লোক কাজ পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক’-এ ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ আইটি পার্কে উৎপাদন করা ইলেকট্রনিক পণ্য, যন্ত্রাংশ এবং সফটওয়্যার দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইতোমধ্যে শুরু হওয়া আইটি পার্কের সাইট অফিস, প্রশাসনিক ভবন, আইসিটি বিজনেস সেন্টার, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সংযোগ সেতুরও। তাছাড়া বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের পাশাপাশি গ্যাস সংযোগও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন কাজই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সারা দেশে ১০টি ইলেকট্রনিকস সিটি নির্মাণের আওতায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির তত্বাবধানে ২০১৬ সালে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কের ২০তম কিলোমিটারে বর্ণি গ্রামে ১৬২ একর জমিতে শুরু হয় এ পার্কের নির্মাণকাজ।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে। প্রথম দিকে সিলেট হাইটেক পার্ক (ইলেকট্রনিক্স সিটি) নামে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক’।

শনিবার দুপুরে নতুন নামে আইটি পার্কের নামফলক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি। এ সময় তারা পার্কের বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এ হাইটেক পার্কে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিসহ অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে; ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন আসবে।’’

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, হাইটেক পার্কে তিন ধরণের সুবিধা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আইসিটি পার্ক এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক প্রকল্প। এখানে ইলেকট্রনিকস পণ্য, যন্ত্রাংশ এবং সফটওয়্যার উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্প এলাকায় দুটি অংশ থাকবে। একটি অংশে থাকবে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। অন্যটিতে আবাসন, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, শপিং সেন্টার ইত্যাদি থাকবে।’


রাইজিংবিডি/সিলেট/২৭ জুলাই ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়