ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবিতে ৭ পদত‌্যাগ, ৬ নিয়োগ

জেলা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বশেমুরবিপ্রবিতে ৭ পদত‌্যাগ, ৬ নিয়োগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। মঙ্গলবার সারা দিনে দু’টি হলের প্রভোস্ট ও বিভিন্ন অনুষদের চেয়ারম্যানসহ সাত জন পদত্যাগ করেছেন। এদিকে নতুন করে ছয় জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুই হল প্রভোস্ট ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সাত জন পদত্যাগ করেন। তারা তাদের নিজ নিজ পদত্যাগ পত্র রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন আহমেদের কাছে জমা দেন। পরে পদত্যাগ পত্র ভারপ্রাপ্ত ভিসির কাছে পাঠানো হয়।

পদত্যাগকারীরা হলেন, কৃষি বিভাগের চেয়্যারম্যান প্রফেসর ড. এম. এ সাত্তার, আইন বিভাগের ডীন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম খান, ফুড অ‌্যান্ড এগ্রো প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক শাহীন, লাইভষ্টোক বিভাগের চেয়ারম্যান মো. শফিকুজ্জামান, স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মুহাম্মদ রবি উল্লাহ ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট রবিউল ইসলাম।

এদিকে নতুন করে ছয় জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগকৃতরা হলেন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানসুরা খানম, সিএসই বিভাগে সহকারী অধ্যাপক মো. নেসারুল হক, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নাসিরুদ্দিন, ইইই বিভাগের প্রভাসক চয়ন মন্ডল, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবীর ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক এসএএম মেহেদী হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান পদত্যাগ ও সহকারী প্রক্টর নিয়োগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়।

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কালীর অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেন। টানা ১২ দিনের আন্দোলনের পর ৩০ সেম্টেম্বর ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন।


গোপালগঞ্জ/বাদল সাহা/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়