ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বহিরাগতরা এফডিসিতে এসে কীভাবে গুলি করার হুমকি দেয়?’

প্রকাশিত: ১০:০৪, ১৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বহিরাগতরা এফডিসিতে এসে কীভাবে গুলি করার হুমকি দেয়?’

আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এ নিয়ে নানারকম কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। গতকাল সোমবার বিকালে বিএফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের সঙ্গে মৌসুমীর কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ উঠেছে, ড্যানিরাজ মৌসুমীকে ধাক্কা দিয়েছেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন তাৎক্ষণিকভাবে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ড্যানিরাজ তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান।

ড্যানিরাজ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গতকাল মৌসুমী ভাবির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন কথা ছড়ানো হচ্ছে।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ড্যানিরাজ বলেন, ‘‘গতকাল শিল্পী সমিতিতে কিছু লোক এসে মৌসুমী ভাবিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর ভাবি তাদের নিয়ে সমিতির চত্বর থেকে বের হন। তখন এক ছেলে ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে সেলফি তুলছিল। আমি ওই ছেলেকে বলি, এই তুমি কে? কার সঙ্গে এসেছো? এ কথা শুনে মৌসুমী ভাবি ফিরে এসে বলেন, ‘এই তুমি আমার লোকদের বের হয়ে যেতে বলছো কেন? তুমি বের হয়ে যেতে বলার কে?’ এরপর আমি বলি, আপনি কে? তখন বহিরাগত ছেলেরা বলে, ‘আমরা ছাত্রলীগ করি, গুলি করে দিব।’ এমন অনেক হুমকি-ধমকি দিয়েছে। বহিরাগতরা এফডিসিতে এসে কীভাবে গুলি করার হুমকি দেয়? এ সময় দুজনেই উত্তেজিত ছিলাম। ঠিক এটুকুই ঘটেছে। এরপর সানি ভাই এসে আমার সঙ্গে অনেক শাউট করেছেন। সেটা সবাই দেখেছেন। আমি আসলে বুঝিনি ওই ছেলে তাদের সঙ্গে এসেছে। বাইরের লোক ভেবে বের হয়ে যেতে বলেছিলাম। আর ছেলেটিও বলেনি কার সঙ্গে এসেছে। তারপর সবার সামনে সরিও বলেছি।’’

তিনি আরো বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। মৌসুমী ভাবি অনেক সিনিয়র একজন শিল্পী। সেজন্য গতকাল তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তিনিও ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেছেন। আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলছি। আশা করি, এ ঘটনা নিয়ে কেউ জলঘোলা করবেন না। আর গতকালের ঘটনার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি চাই ২৫ তারিখের নির্বাচন সুন্দর ও সুস্থভাবে হোক।’

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতের বিপরীতে কেউ নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদ একটি। লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪জন। তারা হলেন—অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।


ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়