ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বারোমাসি তরমুজ চাষে ঘুরছে ভাগ্যের চাকা

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৫ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বারোমাসি তরমুজ চাষে ঘুরছে ভাগ্যের চাকা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : বারোমাসি তরমুজ চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন আঙ্গীয়াদি গ্রামের চাষিরা। উপরে গাঢ় সবুজ আর ভিতরে দেখতে আধা কাঁচা-আধা পাকা মনে হলেও এই তরমুজ খেতে খুব সুমিষ্ট।

আঙ্গীয়াদি গ্রামটি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নে। এই গ্রামে ধানের পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও চাষ করা হয়। বর্তমানে এখানে বারোমাসি তরমুজ চাষের খুব কদর।

বর্ষাকালেও এ তরমুজ চাষে বেশ সফল হয়েছেন তারা। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ার তরমুজ চাষেই ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। বছরে তিন মাস বাজারে পাওয়া গেলেও এখন সারা বছরই চাষ করা হচ্ছে এ তরমুজ। স্থানীয় কৃষি বিভাগও এ ব্যাপারে চাষিদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

মাত্র এক বিঘা জমিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ করেছেন স্থানীয় মো. নূরুল ইসলাম। তার জমিতে মাচায় ঝুলছে সারি সারি ছোট বড় অনেক তরমুজ। তরমুজ সাধারণত পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। অথচ বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও বর্ষাকালে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। আর পেয়েছেন সাফল্যও।

আরেক চাষি রইছ উদ্দিন জানালেন, অল্প সময়ে তারও তরমুজের ভাল ফলন হয়েছে। বললেন, দামও পাচ্ছেন বেশ ভাল। প্রতি বিঘা জমিতে ৭০০ থেকে ৮০০ তরমুজের ফলন হচ্ছে। দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে চাহিদাও বেশি। আমরা অসময়ে এ ধরনের তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান। এসব তরমুজ বাজারে তুলতে হয়না। বাগান থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়।

পাকুন্দিয়া উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো: হামিমুল হক সোহাগ জানান, বর্ষাকালে তরমুজ চাষে কৃষকদের বীজ, পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বর্ষাকালের এই তরমুজ চাষ করতে কৃষকের এক বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ভাল ফলন হওয়ায় বিঘা প্রতি উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। অল্প পুঁজি ও অল্প সময়ে লাভটা বেশি।

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল হাসান জানান, জেলায় বর্তমানে কয়েক হেক্টর জমিতে বারোমাসি এই তরমুজের চাষ হচ্ছে। তরমুজ বর্তমান সময়ে এ অঞ্চলের চাষিদের লাভজনক ব্যবসা। তাই স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। আগামিতে তরমুজ চাষ এ অঞ্চলসহ সব জায়গায় আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন।

 

রাইজিংবিডি/ কিশোরগঞ্জ/২৫ আগস্ট ২০১৯/রুমন চক্রবর্তী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়