ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাহুবলে চা শ্রমিকদের রেশন সহায়তা

মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাহুবলে চা শ্রমিকদের রেশন সহায়তা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলে গত বছরের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া রেশন সহায়তার কারণে চা শ্রমিকেরা খুবই উপকৃত হয়েছেন। আর এ কারণেই এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন প্রকল্পের সুবিধাভোগী শ্রমিকেরা।

২০১৬ সালের জুন মাস থেকে ‘চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন’ নামে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত একটি প্রকল্প চালু করে সরকার। প্রকল্পের আওতায় তিন কিস্তিতে প্রত্যেক শ্রমিককে ১৫ কেজি চাল, দুই লিটার তেল, তিন কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, ২টি সাবানসহ শেষ কিস্তিতে একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি দেওয়া হচ্ছে।

ফুলমতি চাষা একজন চা-শ্রমিক। তিনি জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর চা-বাগানের বাসিন্দা। বাগানে দৈনিক মজুরি তার ৮৫ টাকা। এ টাকায় পরিবারের আহার জোগাড় করা সম্ভব নয়। অভাব লেগেই ছিল। এক বেলা খেলে দু-বেলা খাওয়া কঠিন। তিনি কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তারপরও থেমে থাকেননি। হঠাৎ সরকার ঘোষণা দেয় চা-শ্রমিকদের জন্য প্রকল্প চালু করে রেশন দেওয়া হবে।

এ উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত রশিদপুর, ফয়জাবাদ, রামপুর, মধুপুর, আমতলীসহ ১০টি চা-বাগানের দরিদ্র ৮৭৪ জন শ্রমিকের তালিকা করা হয়। এ তালিকায় ফুলমতির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এ সংবাদ জেনে তিনি খুব খুশি হন।

এ প্রকল্পের আওতায় সর্বশেষ ৭ মে উপজেলায় চা শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফি উল্লাহ।

বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন চা-শ্রমিক স্বপন সাঁওতাল।

চা-শ্রমিক অর্জুন চাষা বলেন, খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী সহায়তা দিয়ে সরকার আমাদের মূল্যায়ন করেছে। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, শ্রমিকেরা বাগানে দৈনিক মজুরি পায় মাত্র ৮৫ টাকা। এ টাকায় সংসার চালানো কঠিন। তাই এ কর্মসূচি সব শ্রমিকের জন্য অব্যাহত রাখা হোক। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অন্য শ্রমিকেরা এসব কথা বলেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, বর্তমান সরকার তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। এর প্রমাণ দেশজুড়ে উন্নয়ন। আজ এখানে দরিদ্র চা-শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে, তাদের পাশে রয়েছি। শ্রমিকদের প্রিয় মার্কা নৌকা। তারা নৌকাকে কোনো দিন ভুলেনি। আর ভুলবেও না।

তিনি বলেন, সরকার এ প্রকল্প চালু করে শ্রমিকদের বিরাট উপকার করেছে। এ প্রকল্প দীর্ঘ মেয়াদী করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফি উল্লাহ বলেন, প্রকৃত শ্রমিকেরা সরকারি এ সহায়তা পেয়েছে। বিতরণে কোনো প্রকারের অনিয়ম করা হয়নি। এসব সরকারি সহায়তা পেয়ে তারা উপকৃত হচ্ছেন।

 

 

রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/৯ মে ২০১৭/মামুন চৌধুরী/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়