বিচারকের উদ্যোগে ভাঙা সংসার জোড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ বছর আগে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে সংসার বাঁধেন তারা। বছর খানেক পর সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান। হাসি-আনন্দে চলছিল ভালো। বছর দুয়েক পর একটা ঝড়ো হাওয়া এসে ছন্দপতন ঘটায়। আলাদা হয়ে যান তারা, ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ। মেয়েকে নিয়ে যান মা। মেয়েকে পেতে আদালতের দারস্থ হন বাবা। এরপর ঘটনা প্রবাহে বিচারকের মধ্যস্থতায় ভাঙা সংসার আবার জোড়া লাগে।
রোববার এমনটি এক দৃশ্য দেখা গেল ঢাকার পারিবারিক আদালত-১৩ এর বিচারক জহিরুল আলমের আদালতে। আর এতে খুশি উভয় পরিবারই। এদিন বিচারক কাজী ডেকে এসলাস কক্ষে আবারো বিবাহ পড়ান ওই দম্পতিকে। তবে ওই দম্পতি তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে ওই দম্পতির বিবাহ হয়। পরের বছর ৬ জানুয়ারি তাদের ঘরে আসে একটি কন্যা সন্তান। ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ওই কন্যা সন্তানকে তার মা নিয়ে যান। এভাবেই চলছিল। গেল রোজার ঈদের আগে ২০ মে ওই বাবা তার মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই মেয়ের কথা চিন্তা করে কিছুক্ষণ সময় তাদের একান্তে কথা বলার সুযোগ করে দেন। এরপর ওই দম্পতি আস্তে আস্তে কাছে আসতে থাকেন। পরে সন্তানের কথা চিন্তা করে তারা আবার এক সাথে সংসার করতে আগ্রহী হন।
পুনরায় বিবাহের পর সন্তানের বাবা বলেন, আমাদের বাচ্চাটা যেন ঠিকমত বড় হয়, ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এসব চিন্তা করে আমরা সংসার করতে এগিয়ে আসি। বিচারকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং মেয়ের কথা চিন্তা করে আমরা আবারও সংসার করার সিন্ধান্ত নিয়েছি। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন ভালোভাবে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারি।
মা বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে আসলে সবচেয়ে বড় সাফারার (ভূক্তভোগী) হয় বাচ্চারা। আমরা তার কথা চিন্তা করেই আমাদের সিন্ধান্ত বদলেছি। আর বিচারককে ধন্যবাদ যে, তিনি আমাদের কিছুক্ষণ কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ওই সুযোগটাই আমাদের সিন্ধান্ত বদলাতে সহায়ক হয়েছে। আপনার সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে এদিন দুই পরিবারের সদস্যরা আদালতেই ছিলেন। আবারো এ দম্পতির সংসার পাতায় দুই পরিবারের মধ্যে খুশির বন্যা বয়ে যায়। তাদের একে অপরের সাথে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। আর একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। তারা সবাই এই দম্পতির জন্য দোয়া চান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪জুলাই ২০১৯/মামুন খান/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন