ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিশেষ তহবিলের ঋণে শুধু শ্রমিকের বেতন, কর্মকর্তার নয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৮ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশেষ তহবিলের ঋণে শুধু শ্রমিকের বেতন, কর্মকর্তার নয়

রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে যারা ঋণ নেবে, সেটা দিয়ে শুধু শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া যাবে, কর্মকর্তাদের বেতনে জন্য প্রযোজ্য নয় বলে সাফ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৮ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।

রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ৫  হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে যেটা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজের অংশ হয়। প্রণোদনার এই ৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ঋণ তারাই পাবে, যারা উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করছে। এমন সচল প্রতিষ্ঠান সুদবিহীন সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারবে। তবে এ ঋণ দিয়ে শুধু শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারবে। কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে না।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে সহজ শর্তে ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান প্রসঙ্গে বেশ কিছু নিয়ম ও নির্দেশনা দিয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেতন-ভাতা প্রদানের সময় শ্রমিক-কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক নিতে বলা হয়েছিল। তবে যাদের পরিচয়পত্র নেই, তাদের বিশেষ বিবেচনায় জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে।

ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক শিল্প প্রতিষ্ঠান যে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করে থাকে, সে ব্যাংকের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে। কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান একাধিক ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করলে সেক্ষেত্রে বেতন-ভাতার বিপরীতে ঋণের জন্য সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে শিল্প প্রতিষ্ঠান চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সমন্বয়ে সিন্ডিকেটেড ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে। ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ আবেদনের সঙ্গে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন হতে কর্তনযোগ্য আয়কর ও ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা পৃথকভাবে উল্লেখসহ মোট বেতন-ভাতা হতে আয়কর ও ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট বেতন-ভাতা উল্লেখ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কর্তন করা আয়কর নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা করে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে চালানের কপি (প্রয়োজনে আয়কর প্রদানের প্রত্যয়নপত্রসহ) সরবরাহ করবে। ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট হিসাবে স্থানান্তর করবে। এক্ষেত্রে নগদে কোন লেনদেন করা যাবে না। এ তহবিল হতে কোনোভাবেই শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে না। তহবিল হতে দেওয়া ঋণের বিপরীতে প্রতিটি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক শ্রমিক-কর্মচারীদের একটি ‘ডাটা বেইজ’ প্রস্তুত করবে।


ঢাকা/হাসান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়