ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ৯ জুন

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ৯ জুন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী ৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ৯ জুন সকাল ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এ সভার আয়োজন করবে।

আলোচনা সভা প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এছাড়া, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমদে মজুমদার এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসির অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে ৯ জুন প্রামাণ্য অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন। পাশাপাশি মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিএবি প্রচার সামগ্রী, ব্যাগ, কলম, বুকলেট, বর্ণিল স্যুভেনির ও পোস্টার প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং রাজধানীর বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে সাজানো হয়েছে।

অ্যাক্রেডিটেশন হচ্ছে পণ্য ও সেবার গুণগত মানসনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতি। কোনো শিল্পপণ্য ও সেবা অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রির জন্য অ্যাক্রেডিটেশন সনদের প্রয়োজন না হলেও  আন্তর্জাতিক বাজারে তা রপ্তানির ক্ষেত্রে ওই পণ্যের অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির টেস্টিং সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। ফলে অ্যাক্রেডিটেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম কারিগরি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধরনের কারিগরি প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় বিএবি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে বিএসটিআই, বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ল্যাবরেটরির মতো সরকারি পরীক্ষাগারসহ দেশীয় ও বহুজাতিক ৬২টি টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, দুটি মেডিকেল ল্যাবরেটরি, দুটি সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পাঁচটি পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।

মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুতে নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান পরীক্ষাকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জি কন্সট্রাকশন বিডিই টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার ল্যাবরেটরিও বিএবির অ্যাক্রেডিটেশন লাভ করেছে। এতে করে দেশে গুণগতমানের অকাঠামো নির্মাণের পথ সুগম হয়েছে।

এছাড়া, বিএবি প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমানে দেশীয় পণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা অল্প সময়ে ও খরচে সহজেই দেশ থেকে অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির সনদ নিতে পারছেন। এতে করে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা লাভবান হচ্ছেন।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৯/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়