ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

রাইজিংবিডি ডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক ধরণের আতঙ্কের খবর। বলা হয়, একুশ শতাব্দীতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সবচেয়ে সঙ্কটজনক অবস্থার জন্ম দিতে চলেছে।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর: প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন।’

আগামী ১২-১৪ নভেম্বর কেনিয়ার নায়রোবিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘নায়রোবি সামিট’। এই সামিটের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৮০৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছিল ১২৩ বছর। অর্থাৎ ১৯২৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়ায় ২০০ কোটিতে। এরপর মাত্র ৩২ বছরে ১৯৫৯ সালে বেড়ে ৩০০ কোটিতে পৌঁছায়। ১৫ বছর পর ১৯৭৪ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০০ কোটিতে। বিশ্বের জনসংখ্যা ৫০০ কোটিতে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল আরও কম। মাত্র ১৩ বছরে ১৯৮৭ সালে সংখ্যাটি ৫০০ কোটিতে পৌঁছায়। এরপর প্রতি ১২ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি করে। ১৯৯৯ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০০ কোটিতে আর ২০১১ সালে তা ৭০০ কোটিতে পৌঁছায়। এই হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১ হাজার কোটি এবং চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ ২১০০ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ১ হাজার ১০০ কোটিতে।

১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবার ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পরিকল্পিত জনসংখ্যা, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই।’

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে বর্তমান জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ কর্মক্ষম। বয়স কাঠামোর এই পরিবর্তন আমাদের সামনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুফল অর্জনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য মানুষকে দক্ষ জনশক্তি তথা মানবসম্পদে পরিণত করার বিকল্প নেই।’

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। সাড়ে ১০টায় ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুলাই ২০১৯/শাহ মতিন টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়