ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বৃষ্টি আর শীতে বিপর্যস্ত গোপালগঞ্জ

জেলা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৃষ্টি আর শীতে বিপর্যস্ত গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা না দেয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে পারছে না। কৃষক চাষাবাদে জমিতে নামতে পারছে না। এদিকে জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তি উদ্যোগে যে পরিমাণ কম্বল ও শীতের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে, তা ছিল চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে দেখা যায়নি। অফিস ও আদালতপাড়া ছিল অনেকটা ফাঁকা। কেউ কেউ জবুথবু বেশে কাজে বের হলেও অল্প সময় কাজ করে আবার ঘরে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। কেউ কেউ সকাল বিকেল আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন।

বিশেষ করে দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তারা একদিকে যেমন কাজে যেতে পারছেন না, আবার বেশি টাকা খরচ করে গরম কাপড়ও কিনতে পারছেন না। তাই গোপালগঞ্জের পুরাতন কাপড়ের মার্কেটগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।

এদিকে, তীব্র শীত ও বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা মাঠে যেতে পারছেন না। ফলে শীতকালীন শস্যের ফলন নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেঝে, এরই মধ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪০ হাজার ২০০ পিস কম্বল বিতরণ করেছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১ হাজার ৮৬০ পিস, কাশিয়ানীতে ৭ হাজার ৭৪০পিস, কোটালীপাড়ায় ৬ হাজার ৫১০ পিস, মুকসুদপুরে ৯ হাজার ১৬০ পিস ও টুঙ্গিপাড়ায় ৩ হাজার ৯০ পিস এবং গোপালগঞ্জের ৪টি পৌর এলাকায় ৪৬০ পিস বিরতণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, টুঙ্গিপাড়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে ৪ হাজার পিস সোয়েটার, কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে কম্বল ও সোয়েটার বিতরণ করেছে। গোপালগঞ্জ শহরের পথশিশু নিকেতনের পক্ষ থেকে শীতার্ত শিশুদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করা হয়েছে। আগামী শনি-রোববার তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমেশ চন্দ্র ব্রহ্ম বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে তাপমাত্রা চলছে, তাতে ফসলের তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তারপরও কৃষি বিভাগ চাষিদের বীজতলায় পানি, সেচ ও পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছি। জেলায় এর মধ্যে ৪০ হাজার ২০০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীত আরও তীব্র হলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


গোপালগঞ্জ/বাদল সাহা/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়