বেরোবির প্রাক্তন উপাচার্যসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জলিল মিয়াসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ায় অভিযোগে রোববার রংপুরের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এতে সাক্ষী করা হয়েছে ২১ জনকে। ৫ আসামির মধ্যে প্রাক্তন উপাচার্যসহ ২ জন জামিনে রয়েছেন। বাকি আসামির বিরুদ্ধে দুদক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকেরও আবেদন করা হয় আদালতে।
প্রাক্তন উপাচার্য ছাড়াও চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল, মোর্শেদ-উল-আলম রনি, উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিএম গোলাম ফিরোজ ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার রায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের উপসহকারী পরিচালক আকবর আলী। ওই দুদক কর্মকর্তা তার কাছে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবদুল জলিল মিয়া এবং শাহজাহান আলী মণ্ডল জামিনে রয়েছেন। প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জলিল মিয়া বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে কর্মরত।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মালেক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন অধ্যাপক আবদুল জলিল মিয়া। শুধু তাই নয়, তাদের বেতনভাতা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাত থেকে প্রায় কোটি টাকা পরিশোধ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুদক এই চার্জশিট দাখিল করে।
রাইজিংবিডি/রংপুর/১৯ মার্চ ২০১৭/নজরুল মৃধা/রিশিত
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন