ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বোরোর ভালো ফলন, হাওরের ৯২ শতাংশ ধান গোলায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৪ মে ২০২১   আপডেট: ১০:৩৯, ৪ মে ২০২১
বোরোর ভালো ফলন, হাওরের ৯২ শতাংশ ধান গোলায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১১হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় হাওরের ৯২ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় লকডাউনে মাঝে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, রংপুর ও হবিগঞ্জ থেকে ৭ হাজার কৃষক জেলায় আনা হয়েছে।

এ ছাড়া জেলায় আগে থেকে ৪৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আরো ৪৬টি এবং চলতি মৌসুমে ৬৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। ৫৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মধ্যে ভুর্তুকিমূল্যে জেলার ইউনিয়নের হাওরে ৭০শতাংশ ও ননহাওরে ৫০শতাংশ বিতরণ করা হয়। জেলায় ১৫৬টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও ২৮টি রিপার একযোগে ধান কাটায় ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) পর্যন্ত জেলায় হাওরের ৯২ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। যার গড় ফল ৪ দশমিক ১৯ টন। আর জেলায় গড়ে ৬৬শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। যার গড় ফল ৪ দশমিক ১০ টন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, এবছর ধান পাকা অবস্থায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় ৫-৭দিন আগেই ধান পেকেছে। ফলে ধান কাটার কাজটিও দ্রুত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুম থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকরা অনেক খুশি। বর্তমানে ধানের বাজার মূল্যও ভালো। কাঁচা ধান ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা ও শুকনা ধান এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে ধান কাটার সময় শেষ হওয়ার আগেই কৃষকেরা এ বছর ইতিমধ্যে ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্র জানায়,  চলতি মৌসুমে বোরোর ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের বীজ, সার ও পানি ইত্যাদি উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে সরকারি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ৩ হাজার ৮০০জন কৃষককে এক বিঘা করে বোরো ধান আবাদের জন্য সার ও বীজ দেওয়া হয়। ৩৫ হাজার কৃষকের মাঝে দুই কেজি হারে ৭০হাজার কেজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বীজ কোম্পানির সুপ্রিম সিড ও রায়ার এক কেজি হারে দেড় হাজার কৃষকের মাঝে হাইব্রিড বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কসবা উপজেলায় ৫০একর জমিতে সমালয়ের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। সেখানে যন্ত্রের ব্যবহার ও হাইব্রিড আবাদের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধির কৌশল কৃষকদের হাতে কলমে শেখানো হয়। ফলে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে নতুন উফশী জাতের যেমন ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৮৪, ব্রি ধান ৮৬, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ এর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছর বিভিন্ন প্রকার হাইব্রিড জাতের আবাদ এলাকা ৬ হাজার হেক্টর বাড়ানো হয়েছে।

মাইনুদ্দীন রুবেল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়