ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ব্যাংকের টাকা ডাকাতি: ১৬ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্যাংকের টাকা ডাকাতি: ১৬ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : ২০০৪ সালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে পূবালী ব্যাংকের গাড়ি থেকে ২২ লাখ ডাকাতির মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। ঘটনার দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ সোমবার আলোচিত এ মামলার রায় দেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মফিজুর রহমান ভূঁইয়া।

রায়ে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উসমান আলীসহ ১৬ জনকে ৭ বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আনোয়ার হোসেন নামে অপর আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন - সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান আশিক, সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহীদুল ইসলাম শহীদ, নগরীর ফাজিলচিশতের জাবেদ, সওদাগরটুলার রুবেল আহমদ, বলকলাপাড়ার কামাল হোসেন, সুবিদবাজারের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা কলিন্স সিংহ, কদমতলীর আবদুল মমিন, ইঙ্গুলাল রোডের রহিম আলী, দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুরের শফিক মিয়া, একই গ্রামের বাসিন্দা ও চেয়ারম্যান উসমান আলীর ভাই আনহার ও আঙ্গুর, আবদুল হক লিটন, শাহান, লিটন ও সিপন আহমদ।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে জাবেদ, রহিম আলী, শফিক মিয়া, আবদুল হক লিটন ও লিটন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফুর আলী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন সিলেটের বিভিন্ন শাখা থেকে ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে নগরীর লালদিঘীরপাড় প্রধান শাখায় যাচ্ছিলেন। গাড়িতে গার্ড মোজাম্মেল আলী, আমানত উল্লাহ ও মাইক্রোবাস চালক মজনু মিয়া ছিলেন। তাদের গাড়ি দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্ত্বর এলাকায় পৌঁছামাত্র ১৫-২০ জন লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা গুলিভর্তি একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ডাকাতদের পিছু নিলে তারা তেতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উছমান আলীর বানেশ্বরপূর বাড়ির পাশে টাকার বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকজন আসামিকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের চার বছর পর ২০০৮ সালের ২৮ মে আদালতে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ২৩ জনের সাক্ষ্য শেষে ১৬ আসামিকে সাজা এবং একজনকে খালাস প্রদান করলেন আদালত।



রাইজিংবিডি/সিলেট/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়