ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ প্রয়োজন’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১০ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ প্রয়োজন’

ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ প্রয়োজন। সরকার এজন‌্য বিভিন্ন ধরনের নীতি-সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা এবং বিধিমালা প্রয়োজন। ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ই-স্বাক্ষর এখনো ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি, যা ডিজিটালাইজেশনে বড় বাধা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব‌্যাংক ম‌্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটালাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংকিং অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

গবেষণা কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা।

কর্মশালায় মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। গবেষণাদলে আছেন- বিআইবিএমের অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ, বিআইবিএমের প্রভাষক ফয়সাল হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের অপারেশন বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ টি এম নেসারুল হক।

গবেষণাপত্রে ব্যাংক খাতে কাগজের বহুল ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকিং খাতের ডকুমেন্টস ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ব্যাংকিং খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক পরিচালনায় আইটি ক্ষেত্রে ভেন্ডরদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিএসিএইচ, বিএফটিএন, আরটিজিএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এনপিএসবি, এমএফএস এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন ব্যাংকিং খাতে ঘটেছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন, ব্যয় কমানো, দক্ষ সেবা প্রদান, দ্রুত সেবা প্রদান, সুষ্ঠু সমন্বয়, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ডিজিটালাইজেশনে কিছু ব্যাংক ভালো করছে, আবার কিছু ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমুদ হোসেন বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে বিনিয়োগ এবং ইচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে না উঠলে ভেন্ডরের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে এনবিআর এবং দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ডিজিটালাইজড হওয়া প্রয়োজন।

সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, এক দিনে ব্যাংকিং খাতকে পেপারলেস করা সম্ভব নয়। তবে উদ্যোগ নিলে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে।


ঢাকা/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়