ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত করতে যাচ্ছে জনসন সরকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিতের জন্য ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথকে অনুরোধ জানাতে যাচ্ছে বরিস জনসনের সরকার। মূলত চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের (ব্রেক্সিট) হয়ে যাওয়া ঠেকাতে পার্লামেন্টের সদস্যদের নতুন আইনের প্রস্তাব ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি বুধবার জানিয়েছে।
বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে বরিস জনসনের প্রশাসন ১৪ অক্টোবর সরকারের নতুন পরিকল্পনা বিষয়ে রানি যাতে ভাষণ দেন সে ব্যবস্থা করছে। তবে এর মানে হচ্ছে, জনসনের ৩১ অক্টোবর চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পরিকল্পনা ঠেকাতে কোনো আইন পাশ করানোর মতো সময় পাচ্ছেন না এমপিরা।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বলেছে, ‘এটা নতুন সরকারের সময় এবং ইইউ ত্যাগ করার পর দেশের জন্য একটি পরিকল্পনা করছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।’
পার্লামেন্ট স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এটি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় এমপিদের গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালন করতে দেবে না।
লরা কুয়েন্সবার্গ জানিয়েছেন, জনসন সরকারের অল্প সংখ্যক মন্ত্রীই এই পরিকল্পনার কথা জানতেন। এটা যে রীতিমতো সরকারের ভেতরে হৈচৈ ফেলে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এর আগে জনসন জানিয়েছিলেন, তিনি ৩১ অক্টোবর চু্ক্তির মাধ্যমেই ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ চান। তবে নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই এটা হতে হবে। তারিখ পরিবর্তনের চেয়ে তিনি চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটকেই বেছে নিবেন।
জনসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের এমপিরা একজোট হয়ে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর জন্য তারা মঙ্গলবার পার্লামেন্টের প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা জানিয়েছিলেন।
১০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশন বসার তারিখ। আর ব্রেক্সিটের শেষ বা চূড়ান্ত তারিখ হচ্ছে ৩১ অক্টোবর। পার্লামেন্ট স্থগিতের ফলে স্বাভাবিকভাবেই জনসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না এমপিরা।
লেবার পার্টির উপ প্রধান টম ওয়াটসন সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে টুইটারে বলেছেন, ‘এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য চরম অপমানের।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ আগস্ট ২০১৯/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন