ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বড়কুঠি ভবনের মালিকানা হস্তান্তর, রাবি শিক্ষকদের ক্ষোভ

মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ৩০ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বড়কুঠি ভবনের মালিকানা হস্তান্তর, রাবি শিক্ষকদের ক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম ও প্রাচীনতম প্রশাসনিক ভবন বড়কুঠি ভবনের মালিকানা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ৪৯১তম সিন্ডিকেট সভায় একাধিক সদস্যের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এর আগেও ২০১১ ও ২০১৬ সালে বড়কুঠির মালিকানা চেয়েছিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে সিটি কর্পোরেশন ভবন নিতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রত্মসম্পদ সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইন-১৯৭৬ অনুযায়ী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভবনটি সংরক্ষিত প্রত্মসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে। একইসঙ্গে ভবনটি সংস্কার করে হেরিটেজ করার জন্য ২০১৮ সালের জুনে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি তোলা হয়। সভায় আলোচনা সাপেক্ষে ভবনের মালিকানা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তান্তর করা হয়।

রাজশাহী শহরের পদ্মাতীরে বড়কুঠি ভবনটি অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মাণ করা হয়। এটি প্রথমে ডাচদের ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। দেশ ভাগের পর ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে বড়কুঠি সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত হয়। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখান থেকে প্রথম প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেই থেকেই ভবনের মালিকানা পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।


রাইজিংবিডি/রাজশাহী/৩০ জুন ২০১৯/মেহেদী হাসান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়