ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ব‌্যবসা বাড়াতে সড়কে সহায়তা দেবে ভারত

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২১ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব‌্যবসা বাড়াতে সড়কে সহায়তা দেবে ভারত

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে নতুন উদ‌্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য দেশের বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়কের মান উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সড়কটির মান উন্নয়ন হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরো প্রসারিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের অনুদান ও ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়/সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পটির প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ৮৯৯ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

এর মধ্যে সরকারি অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ২৭৫ কোটি ছয় লাখ ২৩ হাজার টাকা এবং ভারত দেবে ৬২৪ কোটি ৭৩ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ অক্টোবর দুপুর আড়াইটায় পরিকল্পনা বিভাগের এ বিষয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামীমা নার্গিসের সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্পটির নানাদিক মূল্যায়ন করা হবে।

সভায় প্রকল্পটির কোনো সংশোধন করতে হলে সেই পরামর্শ দিয়ে আবারো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রকল্পটির সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দহীন অনুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে গত ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লীতে থার্ড লাইন অভ ক্রেডিট এর জন্য একটি এমওইউ (মেমোর‍্যান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষরিত হয়। তাতে রামগড় হতে বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি লক-৩ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাবরাম/রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার এবং ঢাকা হতে ২০১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। ফলে এই মহাসড়কটি প্রশস্ত করা হলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও রামগড় স্থল বন্দরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে।

প্রকল্পটির মূল কার্যক্রমে রয়েছে, ক্ষতিপূরণসহ ৬৮ দশমিক ৬১ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, সড়কবাঁধে মাটির কাজ ২৩ লাখ এক হাজার ২৫০ ঘনমিটার, বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ ২২ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার, বিদ্যমান পেভমেন্ট উন্নয়ন ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, হার্ড শোল্ডার নির্মাণ ৩৬ দশমিক ১৪ কিলোমিটার, পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ (৯টি) ২৪৯ দশমিক ২০ মিটার, আরসিসি বক্স কারভার্ট নির্মাণ (২০টি) ১০৮ মিটার, সিসি বক্স প্লেসিং ৫ হাজার বর্গমিটার, টো-ওয়াল নির্মাণ ৬ হাজার মিটার, আরসিসি সসার ড্রেন নির্মাণ ৩০ হাজার নির্মাণ, আরসিসি ইউ ড্রেন নির্মাণ ১০ হাজার মিটার, জিপ ক্রয় ১টি, পিক-আপ ক্রয় (ডবল কেবিন) ৩টি, মোটরসাইকেল ক্রয় ৯টি, পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ ১৫৫০ বর্গমিটার। এ ছাড়া সাইন-সিগন্যাল ও রোড মার্কিং ইত্যাদি করা হবে।     


ঢাকা/হাসিবুল/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়