ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ভবিষ্যতের বাড়ি? (ভিডিও)

মো. রায়হান কবির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২৯ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভবিষ্যতের বাড়ি? (ভিডিও)

মো. রায়হান কবির : মানুষ যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমি বাড়ছে না। ফলে দিন যত যাবে পৃথিবীতে দেখা দেবে ভূমি সংকট।

তাই এখন থেকেই বিকল্প চিন্তা না করলে পৃথিবীতে মাথা গোঁজার ঠাই নিয়েই বেঁধে যেতে পারে যুদ্ধ। যে যুদ্ধ গৃহ যুদ্ধও হতে পারে আবার হতে পারে অন্য দেশের সঙ্গে।

কিছুদিন আগে রাইজিংবিডিতেই জাপানের কিছু বাড়ি নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল স্বল্প জমিতে কিভাবে বাড়ি বানানো যায়। আর সেসব বাড়ি সাধারণ আকৃতির নয়। ছিল বিভিন্ন ধাঁচের। অল্প জায়গায় পুরো বাড়ির সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেসব আধুনিক বাড়ি।

তবে আধুনিকের ওপর থাকে অত্যাধুনিক, একে অন্তত তাই বলা চলে। লন্ডনের আইডিয়াল হোম শো’তে যে বাড়ির প্রদর্শনী হয়ে গেল তা দেখলে চোখ ছানাবড়ার চেয়েও বেশি হবে। বড়সড় ওয়াশিং মেশিন সাইজের একটি ড্রামের মতো বস্তুকে বলা হচ্ছে ভবিষ্যৎ বাড়ি।

যারা মহাশূন্যের স্পেসশিপ ভালোবাসেন তাদের জন্যে একেবারে স্বপ্ন পূরণের মতো। অনেকটা মহাশূন্যের স্পেসের মজাও পাওয়া যাবে। আসলে এই বাড়িটি একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মতো, যা নিজের গর্ভে লুকিয়ে রাখে আপনার প্রয়োজনীয় রুম। একটি রুম পর্যায়ক্রমে পরিণত হয় চারটি রুমে। বেডরুম, ড্রয়িংরুম, কিচেন কিংবা বাথরুম। আপনার শুধু একটা বোতাম চাপতে হবে, মানে আপনি যে রুম চাচ্ছেন। মুহূর্তেই এটা ঘুরে যাবে সে রুমে। আপনার বেডরুম থেকে যখন এটা কিচেনে পরিণত হবে তখন আপনার বেডরুমের ছাদ পরিণত হবে কিচেন রুমের টেবিলে! যেখানে চারজন বসে খেতে পারবেন।

টেলিভিশন আর্কিটেক্ট জর্জ ক্লার্ক ছোট বেলায় মহাশূন্যে ঘোরার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু মহাশূন্যে আর যাওয়া হয়নি। তাই তিনি এমন এক বাড়ি বানাতে চাইলেন, যেটা তাকে মহাশূন্যের স্বাদ দিতে পারবে। তাই তিনি উদ্ভাবন করেছেন, এমন এক বাড়ি যেটা ওয়াশিং মেশিনের মতো ঘুরবে ঠিকই কিন্তু তার ভেতরে স্থাপিত কোনো আসবাব পরবে না, বা স্থানচ্যুত হবে না। তার সঙ্গে এই বাড়ি ডিজাইনে সহায়তা করেছেন ডিজাইনার উইলিয়াম হার্ডি।

আর এ ধরনের একটা আধুনিক বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৬২০০০ ডলার! বাড়ির সুবিধার কথা চিন্তা করলে যা খুবই নগন্য। কেননা একটি দম্পতি এই বাড়িতে অনায়াসেই থাকতে পারবেন। সুতরাং ভবিষ্যতে যখন ভূমির স্বল্পতা দেখা দেবে তখন মানুষকে বাধ্য হয়েই এ ধরনের বাড়িতে ঝুঁকতে হবে। এতে করে জমি যেমন বেঁচে যাবে তেমনি মানুষের ভেতর অপচয় রোধের চিন্তা প্রোথিত হবে।

আপাতত এই বাড়ির প্রোটোটাইপ দেখে সবাই খুশি। এখন প্রয়োজন এ ধরনের প্রযুক্তি আমাদের মতো স্বল্প জমির দেশগুলোতে ব্যাপক হারে বাস্তবায়ন। তাহলে কৃষি জমি যেমন বাঁচবে, বাঁচবে জলাশয়। তেমনি টিকে থাকবে ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মার্চ ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়