ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভোলার নৌপথে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোলার নৌপথে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ভোলা সংবাদদাতা: ছোট ছোট নৌযানে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার কখনো কখনো হয়ে উঠছে দুর্ঘটনার কারণ।

ভোলার ৭টি উপজেলার ছোট-বড় ২৫টি রুটেই ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-যান চলাচল করছে। একের পর এক নৌ-দুর্ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্বিকার থাকতেই দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ১১ জুন। মনপুরার মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে ১২ জন প্রাণ হারান।

অভিযোগ রয়েছে, কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নদীপথের ডেঞ্জার জোন পয়েন্ট দিয়ে পারাপার হচ্ছে নৌ-যান। এতে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে যাত্রীদের জীবন। ঘাটগুলোতে প্রভাবশালী চক্র ইজারাদার থাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ এসব নৌ-যান চললেও কোন অভিযান নেই প্রশাসনের।

জানা যায়, ভোলার জলসীমার ১শ ৯০কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জার জোনের আওতায় আনা হয়েছে, ওইসব পয়েন্টে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সি সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। কিন্তু সে নিয়ম মানা হচ্ছেনা ভোলার ২৫টি রুটের কোনো রুটেই।

বিশেষ করে ভোলা-লক্ষীপুর, তজুমদ্দিন-মনপুরা, ধুলিয়া-ভেলুমিয়া, নাজিরপুর-কালাইয়া, দৌলতখান-সন্দ্বীপ, ইলিশা-বরিশাল রুটে অনেক বেশি ঝুঁকিতেই পারাপার হচ্ছে মানুষ ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইঞ্জিনচালিত ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ট্রলারের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। জেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন মনপুরা ও হাতিয়াসহ অভ্যন্তরীণ চরের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌ-পথ। এসব চরের সংযোগ পথেই চলছে অবৈধ ছোট ছোট ট্রলার। ঝুঁকিপূর্ণ রুটগুলোর মধ্যে হাজিরহাট-কলাতলী, খিজিরখাল-চেয়ারম্যানের ঘাট, মনপুরা-তজুমদ্দিন, রামনেওয়াজ-কলাতলী, হাজিরহাট-মঙ্গল সিকদার, মনপুরা-ঢালচর, হাজিরহাট-চরফ্যাশন, জনতা বাজার-চরফ্যাশন,মনপুরা-সন্দ্বিপ ও মনপুরা-চর নিজাম উল্লেখযোগ্য।

মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটের যাএী আবুল কাশেম, রহিম, সালাউদ্দিন, লোকমান ও সিরাজ জানান, প্রয়োজনের তাগিদে তারা জীবন বাজি রেখেই যাতায়াত করছেন। যে কোন সময় দুর্ঘটনারও আশংকা থাকে।

হাজিরহাট এলাকার লোকমান হোসেন জানান, ট্রলারগুলোর একটিও ফিটনেস নেই, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই তারা উত্তাল নদী পার হন।

এব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিটিএ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. নাছির বলেন, উত্তাল মেঘনায় ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ। তারপরও যদি কেউ চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 


রাইজিংবিডি/ভোলা/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়