ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ভোলায় লবণপানি বাড়ায় কৃষিকাজ ব্যাহত

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ২৮ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোলায় লবণপানি বাড়ায় কৃষিকাজ ব্যাহত

ভোলা প্রতিনিধি : জলবায়ুর প্রভাবে দ্বীপজেলা ভোলার উপকূলীয় এলাকায় লবণপানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ এবং গবাদিপশু পালন মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে সাগর পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা তাদের জমিতে ফসল ফলাতে পারছেন না। এমনকি ফলজ গাছগুলোও দিন দিন নিষ্ফলা হয়ে যাচ্ছে। মিষ্টি পানির অভাবে মরে যাচ্ছে গবাদিপশু।

বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা দ্বীপ চরনিজাম, ঢালচর, চর কুকরি-মুকরি, নজরুলনগর, মুজিবনগর, চরজহিরুদ্দিন আর কলাতলী চরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি এখন শুধুই পরিত্যক্ত ভূমি। আগে এসব জমি থেকে বছরে তিনটি ফসল পেতেন কৃষক।

বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানি পেলে কৃষকেরা এসব জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করতে পারেন। শুষ্ক মৌসুমে পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকায় জমিগুলো উর্বরা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। যে কারণে এখন জমিগুলো চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এই সময়ে এসব জমিতে শাক-সবজিসহ রবিশস্য থাকার কথা থাকলেও ফাঁকা পড়ে আছে জমিগুলো।

এ ব্যাপারে ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, আগে এসব চরাঞ্চলে এমন অবস্থা ছিল না। গত কয়েক বছর পানিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীকে অন্য এলাকা থেকে খাদ্যশস্য আনতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শও এখানকার কৃষকেরা পাচ্ছেন না।

লবণাক্ততার কারণে ভোলার চরগুলোতে অন্তত লক্ষাধিক একর জমি খালি পড়ে আছে। এসব জমিতে এখন খেলাধুলা করছে। জমিগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে আবাদ করা সম্ভব না হওয়ায় কৃষকেরা বছরে কয়েক হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, বেড়িবাঁধ তৈরি করা না হলে, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো উপায় নেই।

লবণসহিষ্ণু জাতের ফসল চাষের পরামর্শও দেন তিনি।



রাইজিংবিডি/ভোলা/২৮ মে ২০১৭/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়