ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা নিচ্ছেন ওয়ার্ডে রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২০ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা নিচ্ছেন ওয়ার্ডে রোগী

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ট্রলিতে রোগীদের ওয়ার্ডে নিয়ে যান দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা।

এজন্য তারা ট্রলি থেকে রোগী নামিয়েই দাবি করেন টাকা। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা।

এসব এড়াতে কৌশল অবলম্বন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে স্বজনরাই ট্রলিতে করে ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে যেতে পারবেন। এজন্য হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ১৫টি ট্রলি রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত রয়েছে আরো ১০টি।

শনিবার থেকে ১৫টি ট্রলি রাখার পর স্বজনরাই ট্রলিতে করে রোগীদের ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে পারছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ট্রলিতে করে স্বজনরা রোগী নিয়ে গেলে তা আবার জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে আসার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আর এজন্য আনসার সদস্যরা রোগীর স্বজনের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর লিপিবদ্ধ করে রাখছেন। সেই সঙ্গে জমা রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। রোগীর স্বজন ট্রলিটি ফেরত নিয়ে এলেই তার জমা রাখা ১০০ টাকা ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

রোববার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান ফটকের পাশে চেয়ার-টেবিল পেতে বসেছেন আনসার সদস্যরা। নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে তারা ট্রলি দিচ্ছেন রোগীর স্বজনদের। তখন জমা নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। রোগীর স্বজনরা ট্রলি রেখে যাওয়ার সময় জমা দেয়া টাকা নিয়ে যাচ্ছেন।

হাসপাতালে আগেও রোগী নিয়ে গেছেন এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা ট্রলিতে করে ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে যাওয়ার পর দূরত্ব অনুযায়ী টাকা দাবি করেন। শ্রমিকদের দাবি, হাসপাতাল থেকে দিনে মাত্র ১২০ টাকা পান তারা। এতে সংসার চলে না। তাই টাকা নেন। শ্রমিকদের ২০ থেকে ৫০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা না দিলে কখনো কখনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস রাইজিংবিডিকে বলেন, হাসপাতালে যেন রোগীর স্বজনরা হয়রানি না হন তার জন্য আমরা এই পদ্ধতি চালু করেছি। ১৫টি ট্রলি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হলো। আরও ১০টি ট্রলি প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে আপাতত ট্রলি টানার জন্য দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা থাকছেন। তাদের কাছেও ট্রলি থাকছে। স্বজনরা চাইলে তাদের সেবা নেবেন, না চাইলে নয়। স্বজনদের মাধ্যমেই ট্রলি টানায় ভালো সাড়া পাওয়া গেলে আরো ট্রলি দেয়া হবে। তখন দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকদের আর প্রয়োজন পড়বে না। কাউকে টাকাও দিতে হবে না।’

 

রাজশাহী/ তানজিমুল হক /জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়