মশক নিবারণী দপ্তরেই ডেঙ্গু বিস্তারের পরিবেশ!
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশক নিবারণী দপ্তরে ওষুধের ড্রাম খালি, গোডাউনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যা মশার অবাধ বিস্তার ও বিচরণের অনুকূল পরিবেশ। দপ্তরে অনুপস্থিত মশক নিবারণী দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও নেই কোন বাড়তি পদক্ষেপ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং মশক নিবারণ দপ্তরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে পাওয়া যায় এমন চিত্র। মঙ্গলবার সিটি করপোরেশন ও মশক নিবারণ দপ্তরসহ দেশের আটটি স্থানে অভিযান চালায় দুদকের বিভিন্ন টিম।
দুদক জানায়, সংস্থাটির একটি টিম প্রথমে ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মশক নিবারণী দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাকে দপ্তরে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। উক্ত দপ্তরে মজুদকৃত মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ওষুধের ড্রাম খালি অবস্থায় পাওয়া যায়, যা অস্বাস্থ্যকর এবং মশার বিস্তারে সহায়ক এরূপ প্রতীয়মান হয়। গোডাউনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং মশার অবাধ বিস্তার ও বিচরণ লক্ষ্য করে দুদক টিম।
পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে তারা। টিম জানতে পারে, মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিকট হতে মশার ওষুধ ধার নিয়ে ব্যবহার করছে। দুদক টিম আরো লক্ষ্য করে, দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ হারে বাড়লেও পূর্বে যে হারে ওষুধ ব্যবহার করা হতো সেই একই হারে এখনও ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে গত চার বছরে কী পরিমাণ মশার ওষুধ ক্রয় করা হয়েছে এবং সেগুলো কী হারে ব্যবহার করা হয়েছে তা আগামীকালের মধ্যে জানানোর জন্য অনুরোধ করে দুদক টিম।
অন্যদিকে রেলওয়ের জমি দখল করে মাটি ভরাট ও স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ হতে পরিচালিত অভিযানে দুদক টিম জানতে পারে, রেলওয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট হতে চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদ ডেবা, পাহাড়তলি জোড় ডেবা ও ভেলয়ার দীঘি ইজারা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তা দখলমুক্ত হয়নি, বরং উক্ত এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং ভাড়া দিয়ে অবৈধ অর্থ আয় করছে।
দুদকের ভিন্ন আরেকটি অভিযান চালায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙা পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযানকালে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম এক কোটি বত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ২টি রাস্তা ও ২ টি কালভার্ট নির্মাণকাজ নিরীক্ষা করে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে কালভার্টের সংযোগ সড়ক ভাঙা দেখা যায় এবং রাস্তার কাজে কিছু অনিয়ম পাওয়া যায়।
এছাড়া উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়, টিআর প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ এবং বোরো মৌসুমে সরকারী ধান সংগ্রহে খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে রংপুর, কুষ্টিয়া ও হবিগঞ্জে পৃথক অভিযান চালানো হয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/০৬ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/নবীন হোসেন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন